সিলেটে নতুন আমেরিকান কর্নার উদ্বোধন করেছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আমেরিকান কর্নার উদ্বোধন করা হয়।
ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এবং বাংলাদেশের স্থানীয় অংশীদারদের মধ্যে এ যৌথ অংশীদারিত্বের লক্ষ্য স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বৃদ্ধি, জনগণের মধ্যে সংযোগ দৃঢ় করা এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করা। আমেরিকান স্পেসের কার্যক্রম বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আমেরিকান মূল্যবোধ, আদর্শ, সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গির বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরে।
সিলেটে আমেরিকান কর্নারের উদ্বোধন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এবং বাংলাদেশের স্থানীয় সংগঠনগুলোর মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের প্রতিফলন। এটি শিক্ষার উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করার প্রতি তাদের সম্মিলিত অঙ্গীকারকে তুলে ধরে। যারা শিখতে এবং নিজেদের জনগোষ্ঠীতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চায়, নতুন প্রতিষ্ঠিত সিলেটের আমেরিকান কর্নারটি তাদের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ হিসেবে কাজ করবে।
বাংলাদেশ এবং আমেরিকার সরকারি কর্মকর্তারা, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের সাবেক শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ, ছাত্রছাত্রী এবং স্থানীয়রা এ প্রাণবন্ত শিক্ষাকেন্দ্রের উদ্বোধন উদযাপন করতে একত্র হন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর বলেন, সিলেটে আমেরিকান কর্নারের উদ্বোধন করতে পেরে আমি অনেক গর্বিত। এটি এমন এক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পদের সঙ্গে সংযোগ বাড়াবে এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী আন্তঃসাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা তৈরি করবে।
তিনি আরও বলেন, এ আমেরিকান স্পেস আমাদের স্থানীয় যুবসমাজ, শিক্ষাবিদ এবং সেই তরুণ পরিবর্তনকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে সংযোগ আরও দৃঢ় করবে, যারা তাদের জনগোষ্ঠীতে ইতিবাচক অবদান রাখতে নিজেদের উৎসর্গ করেছেন।
আমেরিকান কর্নারগুলো একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের অংশ, যা স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় পরিচালিত সাংস্কৃতিক ও তথ্য কেন্দ্র। এ কেন্দ্রগুলো বিনামূল্যে এবং উন্মুক্ত তথ্য সম্পদ প্রদান, আমেরিকায় পড়াশোনা এবং স্কলারশিপ প্রোগ্রামের সুযোগ প্রচার, ইংরেজি ভাষার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহায়তা, যুক্তরাষ্ট্রের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন, এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া বাড়াতে বিভিন্ন কার্যক্রম আয়োজন করে। এছাড়া এ কেন্দ্রগুলো স্থানীয় এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ নেতা-নেত্রীদের দক্ষতায় ক্ষমতায়ন করে।