শান্তিগঞ্জ উপজেলায় এখন শারদীয় দুর্গাপূজার হাওয়া বইছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে উপজেলার ২১ টি মন্ডপে শুরু হওয়া প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় সম্পন্ন। শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী ও আয়োজকরা।
উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, শান্তিগঞ্জের বেশির ভাগ মন্দিরগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পন্ন৷ বাকি শুধু রংতুলির কাজ৷ এবছর ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। চলবে আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত।
ইতোমধ্যে মন্দিরগুলোতে খঁড় ও মাটি দিয়ে পরম যত্নে গড়ে উঠছে প্রতিমা। এখন চলছে দোঁ-আঁশ মাটির কাজ। আর এসব প্রতিমা তৈরিতে দম ফেলার ফুসরত নেই প্রতিমা শিল্পীদের। এরপর রং তুলির টানে প্রতিমাগুলো ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন প্রতিমা শিল্পীরা। দেবী মা দুর্গা তার সাথে বিদ্যার দেবী স্বরসতী, ধন সম্পদের দেবী লক্ষ্মী এবং তার সাথে দেবতা কার্তিক ও গনেশসহ নানা দেব-দেবীর প্রতিমার রূপকে ফুটিয়ে তুলছেন নিপুণ হাতের ছোঁয়ায়।
এ বছর একেকজন প্রতিমা শিল্পীরা ৬ থেকে ৭টি করে প্রতিমা তৈরি করেছেন। প্রতিমা শিল্পী নিরধ আচার্য জানান, পূজা শুরুর দিন পর্যন্ত রং এর কাজ করতে হবে তাদের। এবার তিনি ৪টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরি করেছেন। এখন প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হলেও বাকি রঙতুলির কাজ। প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর জন্য ২৫- ৩০ হাজার টাকা নিচ্ছেন তিনি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জ্যোতি ভূষণ তালুকদার ঝন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা বলেন, দুর্গোৎসব উপলক্ষে আমরা সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। উপজেলার প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের উপজেলা কমিটির পক্ষথেকেও একটি বিশেষ টিম কাজ করবে।
মুঠোফোনে কথা হলে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আকরাম আলী বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজায় যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসন সর্বদা সজাগ থাকবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালন করতে পারেন সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা বলেন, সবাই যাতে নির্বিঘ্নে আনন্দঘন পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারেন তার জন্য প্রশাসনের পক্ষথেকে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পূজায় সকল মন্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।