বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, জামায়াত নেতারা হাসি মুখে ফাঁসির মঞ্চে যেতে রাজি হয় কিন্তু দেশ থেকে পালায় না। প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। এই রাজনীতি আর বাংলাদেশে থাকবে না। হিংসা বিদ্বেষ দূর করার জন্য কাজ করতে হবে। এখন থেকে এলাকায় এলাকায় গণযোগাযোগ শুরু করতে হবে। আমরা কাজ করবো দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। আমরা সব কিছু করবো আল্লাহর জন্য।
তিনি দলের সংগঠকদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রত্যেক সংগঠককে ইমানের ব্যাপারে দুর্বলতা দেখানো যাবে না। ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানের কোন ঘাটতি থাকা যাবে না। কুরআন, হাদিস ও ইসলামি সাহিত্য নিয়মিত অধ্যায়ন করতে হবে। তাওহীদ, রেসালাত ও আখিরাতের ধারণা লাভ করতে হবে। সকল ধরণের কু-ধারণা বজর্ন করতে হবে। হিংসা ও বিদ্বেষ দূর করতে হবে। যেখানেই মানুষ আছে সেখানে কাজ করতে হবে। মানুষের কাছে নিজেদের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি খলিফা হিসেবে মানুষকে পাঠিয়েছেন। এখন আপনি আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা বাদ দিয়ে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করতে লাগলেন। এটা হবে না। সমাজে যত রাজনৈতিক দল আছে তারা আল্লাহর বিধান কায়েমের জন্য চেষ্টা চালাবে। সুতরাং কোন মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের বাইরে থাকতে পারে না। যে ব্যক্তি ইসলামকে লালন করে সেই হবে আমাদের প্রতিনিধি সেটা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার পৌরসভার হলরুমে পৌর দায়িত্বশীল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
কর্মশালায় জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলীর উদ্বোধনী বক্তব্যে রাখেন।
পবিত্র কুরআন থেকে দারস দেন ঢাকা মহানগর উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য ও শেরেবাংলা নগর থানা দক্ষিণের আমীর মাওলানা আমিনুল ইসলাম।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মো.ফখরুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা আমীর দেওয়ান সিরাজুল মতলিব, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও সিলেট বিভাগীয় আঞ্চলিক টিম সদস্য মো. আব্দুল মান্নান, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি মো.ইয়ামীর আলী,সহকারি সেক্রেটারি আলাউদ্দিন শাহ।