স্বপ্নের যুক্তরাজ্যে পড়ালেখা ও সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন মানুষের একটি বড় স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন কেউ পূরন করতে পারেন আবার কেউ পারেন না। ঠিক তেমনি স্বামী সন্তান সংসার সামলিয়ে যুক্তরাজ্যের মতো ব্যস্ত দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন শাহিনা আক্তার।
জানা যায়, শাহিনা আক্তার যুক্তরাজ্যের অলস্টার ইউনিভার্সিটি বার্মিংহাম ক্যম্পাস থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস উইথ হিউম্যান রিসোর্স ম্যনেজম্যান্ট এন্ড এডভান্স প্র্যাকটিস ডিপার্টমেন্ট থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।
গত ৩০ আগস্ট যুক্তরাজ্যের নগর বার্মিংহামের টাউন হলে আড়ম্বরপূর্ণ এক সমাবর্তনে ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যন্সেলর প্রফেসর ডক্টর বার্থলুমিও শাহিনা আক্তারের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।
শাহিনা আক্তার এর আগে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তিনি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও লেখক মরহুম ডাক্তার করম আলীর সর্ব কনিষ্ট নাতনি এবং মরহুম আলা উদ্দিনের সর্ব কনিষ্ট কণ্যা।
শাহিনা আক্তারের স্বামী সিলেটের সাংবাদিক ও ছাতকের সন্তান যুক্তরাজ্য প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। তিনি ছাতক উপজেলা সাবেক সহকারী কৃষি সম্প্রষারণ অফিসার আব্দুল হামিদের পুত্র বধু। শাহিনা আক্তারের বড় ভাই যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা এবং সলিসিটর আব্দুস সালাম মাসুম।
শাহিনা আক্তার জানান, যখন আমি বাংলাদেশে প্রথম মাস্টার্স পড়াশোনা করি তখন আমার মেয়ে গর্ভে ছিল। যখন আমি যুক্তরাজ্যে এসে মাস্টার্স করি তখন আমার ছেলে গর্ভে ছিল। সন্তান গর্ভ ধারণ সংসার সামলিয়ে ফুলটাইম পড়াশোনা করে সফল হওয়াটা আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থায় খুবই কঠিন এবং অসম্ভব। কিন্তু আমার সবকিছু সম্ভব হয়েছে এবং আমি পেরেছি আমার স্বামীর সহযোগিতা ও তার সমর্থনের কারণে। তিনি জানান, আমার পরিবার, ভাই বোন সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ কারণ তাদের সহযোগিতা না পেলে এই পথটা আমার জন্য অনেক কঠিন হতো এবং কখনও সম্ভব ছিলনা। আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। তবে যুক্তরাজ্যে যারা নতুন আসছেন তাদের প্রতি আমার অনুরোধ এসে তাড়াহুড়ো করে রাতারাতি কিছু করার কথা না ভেবে ধৈর্য সহকারে পড়ালেখাটা শেষ করুন। সফলতা আপনার আসবেই। তিনি সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন।
স্ত্রীর সফলতার বিষয়ে জানতে চাইলে, সাংবাদিক কলামিষ্ট এনামুল হক জানান, এটি অনেক বড় সফলতা। তার চেষ্টা আর আমার সহযোগিতা সমর্থন সহ পরিবারের সকলের সমর্থন সব মিলিয়ে সফলতা এসেছে এজন্য আমরা আল্লাহর শুকরিয়া পাশাপাশি সকলের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এটি একজন মা হিসেবে ও একজন স্ত্রী হিসেবে তার অনেক বড় জার্নি ছিল। আমি মনে করি আমার সহধর্মীনির এই সফলতা আগামী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ হিসাবে কাজ করবে।