সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রান্ত চলছে। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা লোড শেডিংয়ে ব্যবসা বানিজ্যে ভাটা পড়েছে। একদিকে অসহনীয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট অন্যদিকে প্রচণ্ড তাপদাহে জনসাধারণ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন।
মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছেন উপজেলাবাসীর মধ্যে। গত কয়েক দিন ধরে বিদ্যুতের ভেলকিবাজির কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভের ঝড় বইছে। বিদুৎ বৈষম্য নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
উপজেলা বিদুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ দিতে প্রতিদিন গড়ে ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন রয়েছে এর মধ্যে জগন্নাথপুর ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে কমিয়ে আনায় ঘাটতি পূরণের জন্য এক ঘন্টা পরপর লোডশেডিং শুরু হয়। আমদানি করা বিদুৎ ও গ্যাসভিত্তিক কিছু প্ল্যান্ট গুলোতে গ্যাস সংকটে উৎপাদন বন্ধ আছে এই জন্য বেশি সমস্যা হচ্ছে।
এ দিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে মোবাইল নেটওয়ার্কও ব্যাহত হচ্ছে বিশেষ করে রবি ও এয়ালটেল এর মত মোবাইল কোম্পানীর নেটওয়ার্ক থাকে না। বিদ্যুৎ না থাকলে অপারেটররা ২-৩ ঘণ্টা পর্যন্ত নিজেদের ব্যবস্থায় নেটওয়ার্ক চালাতে পারে, কিন্তু এর বেশি হলে সাইট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে করেও দেখা দেয় চরম ভোগান্তি।
জগন্নাথপুর বাজারের ব্যবসায়ী সুজন আহমদ শুভ বলেন, প্রচণ্ড গরম আর বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ক্রেতারা বাজারে আসছেন না। এতে করে আমার মত বিদুৎতের উপর নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ১২টা বেজে যাচ্ছে। আমার মত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্তের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আরেক বাজার ব্যবসায়ী মো. ওয়ালি উল্লাহ বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্রিজে থাকা জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানি তোলা যাচ্ছে না। অচল হয়ে পড়েছে ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ। প্রচণ্ড তাপদাহের সঙ্গে বিদ্যুতের অত্যাচারে শিশু ও বয়স্ক মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার গন্ধর্ব্বপুর গ্রামের বাসিন্দা হাজী এখলাছুর রহমান বলেন, দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। ১ ঘন্টা পর পর বিদুৎ চলে যায়। এতো বেশি লোডশেডিং মানা যায় না। আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার বিরাট ক্ষতি হচ্ছে।
উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আজিজুল ইসলাম আজাদ বলেন, আমরা জেনেছি ভারত থেকে বিদুৎ আমদানি হত এগুলো বিভিন্ন ভাবে বন্ধ রয়েছে। এই গরমে বিদুৎতের চাহিদা বেড়ে গেছে। আমাদের ৬টি পিলার রয়েছে এদের মধ্যে ৩টায় ১ ঘন্টা দেই আরেক ৩টায় ১ ঘন্টা এভাবে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত চলে। রাতের দিকে ব্যবসা প্রতিষ্টান ও অফিস বন্ধ থাকায় মোটামুটি সার্ভিস দিতে পারি। আমরা উপরে যোগাযোগ করেছি। মুলত ঢাকা থেকে লোড আসে। শহরের তুলনা আমরা এখানে বিদুৎ কম পাই। আগামী ১১ তারিখ একটি মিটিং আছে, সেখানে লোড বা আবার আগের যায়গাত নিয়ে যেতে আলোচনা করা হবে।