ছায়াদ হোসেন সবুজ, শান্তিগঞ্জ: প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস ওঠা মানুষ এখন বারবার বিদ্যুতের সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। দিনে সূর্যের তেজ আর রাতে ভাপসা গরমে অসহনীয় অবস্থায় সময় পার করছে মানুষ। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে খেটে খাওয়া মানুষ কখনো একটু সুযোগ পেলেও বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।
এদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন সকল ধরনের ব্যবসায়ীরা। প্রচন্ড দাবদাহ আর দিনের বেশি সময় বিদ্যুৎ না থাকায় বেচা-বিক্রি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় উপজেলাজুড়ে বারবার লোডশেডিং চলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শান্তিগঞ্জ সাব-জোনাল অফিস কর্তৃপক্ষ।
পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা জানান, ৭-৮ দিন ধরে প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে লোডশেডিং হচ্ছে। দিনে ৫ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। তারা বলেন, এমন লোডশেডিং আগে কখনও দেখিনি। বিশেষ করে রাতে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ছাত্র/ছাত্রীদের লেখাপড়ায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে এর পাশাপাশি শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ভোগান্তির মধ্যে আছেন। শুধু লোডশেডিং নয় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলেও অতিষ্ঠ গ্রাহকরা।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. ইয়াসিন মাহমুদ বলেন শান্তিগঞ্জে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ৫.৫ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২ মেগাওয়াট। প্রতিনিয়ত ৩. ৫ মেগাওয়াট ঘাটতি থাকায় লোডশেডিংয়ের সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে আবেদন করেছি আমাদের এখানে মেগাওয়াট বাড়িয়ে দেয়ার জন্য।