আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিলেটের সীমান্ত দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন কিছুতেই কমছে না। আর ভারতে পালিয়ে যাওয়ার অংশ হিসেবে ব্যবহার করছেন সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় অবস্থিত সীমান্ত গুলো যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুতারকান্দি, গজুকাটা সীমান্ত তবে সড়ক পথে বিয়ানীবাজার হয়ে সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পালিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন এখন সর্বত্র শুনা যাচ্ছে।
গত দুই সেপ্টেম্বর কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে সিলেট-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পালিয়ে যাচ্ছেন এমন সংবাদ চাউর হওয়ার পর স্থানীয়রা নড়েচড়ে বসে এবং সীমান্তে তল্লাশি চালায় যেই তল্লাশির ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ব্যাপক ভাইরাল হয় তবে শেষ পর্যন্ত কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে নাহিদের পালিয়ে যাওয়ার সংবাদের সত্যতা মেলেনি। এর আগে সরকার পতনের দুই সপ্তাহের মাথায় সিলেটের বিয়ানীবাজার হয়ে কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল হোসেন নিখিল এমন গুঞ্জন শুনে রাতভর সিলেটের বিভিন্ন সড়কে পাহাড়া দিতে দেখা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের তবে শেষ পর্যন্ত নিখিলের দেখা মেলেনি।
সম্প্রতি কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিচারপতি ব্যারিস্টার এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আটক হোন। এ ছাড়াও কয়েকটি সুত্র বলছে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই সীমান্ত দিয়ে টাকার বিনিময়ে বিশেষ চুক্তিতে পালিয়ে গেছেন অনেক নেতাকর্মী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেটের বিয়ানীবাজারে বসবাসরত কানাইঘাট এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, আমার বাড়ি কানাইঘাট সীমান্তের কাছেই এখানে অনেক আগ থেকেই আট থেকে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে সিন্ডিকেট চক্র সীমান্ত পাড় হতে সাহায্য করে। তবে বর্তমান সময়ে সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে যতদূর জেনেছি।
বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা আরেক নেতা বলেন, দেশেকে ডুবিয়ে বড় বড় অনেক রাঘববোয়াল দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আমরা দেশ ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। নেতাকর্মীদের নিয়েই আমাদের চলতে হবে হাজার হাজার নেতাকর্মী আমাদের পেছনে আমরা পালিয়ে গেলে এদের কি হবে।