হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক এমপি ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল ও আব্দুল মজিদ খানসহ ১শ ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত হাসানের পিতা বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও ককটেল, টেটা, ফিকলসহ পেট্রোল বোমা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে ৯জন নিহত ও প্রায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় উল্লেখ্যযোগ্য আসামীরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান ও মো. আবুল কাশেম চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শেখ সাছুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আঙ্গুর মিয়া, গোলাম কিবরিয়া লিলু, আব্দুল আহাদ মিয়া, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মো. রেখাছ মিয়া, আসাদুজ্জামান খান তুহিন, তুষার স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল মনসুর তুহিন, চৌধুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফজল উল্লাহ খান, পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে কর্মরত ফুয়াদ উল্লাহ খান ও ইতালি প্রবাসী রুহুল আমিন, সাংবাদিক মো. আশিকুল ইসলাম, রায়হান উদ্দিন সুমন ও খলিলুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে মামলায় নিরপরাধ মানুষদের আসামি করায় উপজেলাজুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দেব (বানিয়াচং সার্কেল) জানান, মামলায় ১৬০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০-২৫০ জন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের আসামি করা হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীকে খোঁজে বের করতে তাদের তদন্ত কার্যক্রম চলছে।
প্রসঙ্গত,গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনকারীরা বানিয়াচং থানায় হামলা করে। এসময় হামলা ঠেকাতে পুলিশ আন্দোলনরত ছাত্র জনতার উপর গুলি চালায়। গুলিতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন নিহত হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ৪ জনের মৃত্যু হয়।
এসময় উত্তেজিত জনতা বানিয়াচং থানার এসআই সন্তোষ চৌধুরী ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক সোহেল আখঞ্জিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।