হবিগঞ্জঃ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিশু হাসান (১২) মিয়া নিহতের ঘটনায় হবিগঞ্জ -২ আসনের (বানিয়াচং- আজমিরীগঞ্জের ) সদ্য সাবেক এমপি ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল ও সাবেক এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খানসহ ৪ শতাধিক লোকের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নিহত হাসানের পিতা ছানু মিয়া বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৬০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা ২০০/২৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখিতরা ছাড়াও ইউ/পি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি, ইউ/পি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি শেখ শামসুল হক, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আশিক মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ- সভাপতি আসাদুজ্জামান খান তুহিন, ইংল্যান্ড প্রবাসী শাহ নেওয়াজসহ ১৬০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও এজাহার সুত্রে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তখন সংঘর্ষ বাঁধে। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ও পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে গুলি ছুড়েন। এ সময় গুলিতে শিশু হাসান মিয়াসহ ৯ জন নিহত হন।
নিহত অন্যান্যরা হলেন- বানিয়াচং মাইজের মহল্ল্যার আব্দুর নুরের পূত্র আশরাফুল (১৭), পাড়াগাঁওয়ের শমসের মিয়ার পূত্র মোজাকির মিয়া (৪৫), কামালখানী মহল্লার মৃত আলী হুসেনের পূত্র নয়ন মিয়া (২০), জাতুকর্ণপাড়ার আব্দুর রউফের পূত্র তোফাজ্জল মিয়া (১৮), পূর্বগড়ের ধলাই উল্লার পূত্র সাদিকুর ইসলাম (২৩), কামালখানীর মৃত তাহের উল্ল্যাহর পূত্র আকিবুর মিয়া (৩২), খন্দকার মহল্লার আবুল হোসেনের পূত্র আনাছ মিয়া (১৮), সাগর দিঘির পূর্বপাড়ের মৃত মোশাহিদ মিয়ার পূত্র সংবাদকর্মী সোহেল আকঞ্জী (৩৮)। এছাড়াও ওই দিন রাতে ছাত্র- জনতার গণপিটুনিতে নিহত হয় বানিয়াচুং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই ) সন্তোষ ঘোষ।