ঘরের কাজের মধ্যে টুকিটাকি বাসন মাজা, জামা কাপড় ধোয়া বা বেসিন পরিষ্কার নিজেকেই করতে হয়। আবার সুস্থ থাকতে হাত ধোয়াও জরুরি। সাবান দিয়ে হাত ধুলে তবেই জীবাণু দূর হয়। এর ফলে হাত বা হাতের তালু খসখসে হয়ে যায়।
হাতের উপরিভাগ রুক্ষ হয়ে গিয়ে খড়ি ফোটে।
খসখসে ত্বক, ভাঙা নখ দেখতে মোটেই ভালো লাগে না। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
গ্লাভ্স
বেশি বাসনকোসন বা জামা কাপড় ধুতে হলে অবশ্যই ভালো মানের গ্লাভ্স ব্যবহার করতে পারেন।
এর একাধিক সুবিধা। নখ কেটে নেলপালিশ পরেছেন। সাবান-পানি থেকে নখ নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাবে। ঠান্ডা লেগে সর্দিকাশি হলে, সরাসরি পানি ধরতে হবে না।
পাশাপাশি বাসন মাজার সময় সাবানের বা বাথরুম পরিষ্কারের সময় ক্ষতিকর রাসায়নিক সরাসরি হাতে লাগবে না।
মৃদু সাবান
অনেক সময় তরল সাবান দিয়ে বার বার হাত ধোয়ার ফলে হাত রুক্ষ হয়ে যায়। অনেকের হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারেও হাতে চামড়া ওঠে। অথচ বাইরে থেকে এসে, খাওয়ার আগে হাত ধোয়া জরুরি। অনেক সময় তরল সাবানে থাকা রাসায়নিকের কারণে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়।
এ ক্ষেত্রে মৃদু সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
তেল
রান্নাঘরেই একটি পাত্রে নারকেল বা অলিভ অয়েল রেখে দিতে পারেন। বাসন মাজতে হলে বা বেসিন পরিষ্কার করতে হলে তার পরেই কয়েক ফোঁটা তেল হাতের আঙুলে ও তালুতে ভাল করে মেখে নিন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। খসখসে হবে না হাত।
খাবার
ত্বক ভাল রাখতে ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার, পর্যাপ্ত পানি খাওয়া জরুরি। তাই খাবার তালিকায় ফল, সবজি, প্রোটিন, ভিটামিন সবই যেন থাকে। পর্যাপ্ত পানি খেলে শরীর যেমন ভাল থাকে, ত্বকও আর্দ্র থাকে।
হাতের যত্ন
সপ্তাহে এক দিন বা দুই দিন ঘরোয়া ফেস প্যাকে শুধু তালু বা আঙুল নয়, হাত থাকবে সুন্দর। হাত দিয়েই যত কাজ। তাই হাতের যত্ন খুব জরুরি।
দই ও বেসন
৫ চামচ টক দই ও ৫ চামচ বেসন মিশিয়ে পুরো হাতে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের ময়লা উঠে যাবে। পাশাপাশি হাতও নরম হবে।
অ্যালোভেরা ও মধু
অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য খুব ভালো। এতে থাকে প্রদাহনাশক উপাদান, ভিটামিন। মধু কালচে ভাব দূর করে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। ৪ চা-চামচ অ্যালোভেরা, ১ চা-চামচ হলুদ ও ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে হাতে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে হালকা ঘষে মিশ্রণটি তুলে দিন। এতে হাতের জেল্লা ফিরবে, কালচে ভাব উধাও হবে।