কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খুলে এবার পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকা। এখন চলছে গণনা। দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজাবে রহমতের তত্ত্বাবধানে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তরিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ উপস্থিত ছিলেন।
মসজিদটিতে ৯টি দানবাক্স রয়েছে। প্রতি তিন মাস পরপর এগুলো খোলা হয়। এবার খোলা হয়েছে প্রায় চার মাস (১১৯ দিন) পর। এখন চলছে গণনার কাজ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এসব দানবাক্সে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। টাকা গণনা শেষে ব্যাংকে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। টাকা গণনার কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ছাড়াও মাদ্রাসার ২৪৫ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ কর্মী, মসজিদ কমিটির ৩৪ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৭ টি বস্তায় পাওয়া গিয়েছিল ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা। সে সময় ৪ মাস ১০ দিন পর খোলা হয়েছিল দানবাক্সগুলো। ঐতিহাসিক এ মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এত টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড।
মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল ছাড়াও স্বর্ণ ও রূপার গহনাসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন অসংখ্য মানুষ। দেশের বাইরে থেকেও আসে দানের টাকা।