বৃষ্টিদিনে জুতার বাড়তি কদর দরকার হয়। কারণ ঘর থেকে বের হলেই কাদা, মাটি জুতায় লেগে একাকার হয়ে যায়। এমনদিনে রাবার সোল লোফার, স্যান্ডেল, অথবা স্লিপারের ফুটওয়্যার পরা ভালো।
তবে জুতা নির্বাচন আপনার পেশাগত কাজে কোনো প্রভাব ফেলছে কি না—সেদিকে নজর রাখুন। কর্পোরেট পার্সনদের পরামর্শ হচ্ছে, ‘ব্যক্তির উচিত পারসোনাফাই করে এমন জুতা বেছে নেওয়া।’
সুতরাং অফিসে আপনাকে মানানসই জুতাই পরতে হবে। সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে অফিসে গিয়ে চট করে জুতা পাল্টে নেওয়ার সুযোগ থাকলে সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন।
জুতার যত্নে যা করতে পারেন
অফিসে যাওয়ার পথে জুতায় কাদা লেগে গেলে অফিসে পৌঁছে ভেজা টিস্যু দিয়ে প্রথমে পরিষ্কার করে নিন। এরপর শুকনো টিস্যু দিয়ে মুছে ফেললে কাদা কিংবা দাগ অনেকাংশে চলে যাবে।
বাড়িতে ফিরে ভেজা জুতা ভালো করে মুছে নিতে পারেন। প্লাস্টিক বা রাবারের জুতা হলে ধুয়ে ফেলতে পারেন। তারপর বাতাসে শুকাতে দিলে জুতা ভালো থাকবে।
ট্রেন্ডে রয়েছে কাপড়ের জুতা। কাপড়ের জুতায় কাদা-মাটি লেগে গেলে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে পারেন।
জুতার ফিতা এবং ভেতরের সোলগুলো আলাদা করে বাতাসে ছড়িয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।
বর্ষায় অল্পতেই জুতা গন্ধ ছড়ায়। ঘরে ফিরে একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিন। একটি পুটলি বানান। এরপরে পুটলিটা জুতার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন জুতা থেকে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
ন্যাপথলিন গুঁড়া করে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর জুতার মধ্যে ছড়িয়ে দিন। এতে জুতায় আর দুর্গন্ধ থাকবে না।
তাড়াহুড়ো করে হেয়ার ড্রায়ারের তাপ দিয়ে জুতা শুকাবেন না।