মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০৭ অপরাহ্ন

রাতে শাবির ৩ শিক্ষার্থী আটক, দিনে ছাড়িয়ে নিলেন শিক্ষকরা

  • প্রকাশের সময় : ০১/০৮/২০২৪ ০৭:২৭:১৫
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের ছবি: সংগৃহীত
Share
35

সিলেটে বুধবার (৩১ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে মেসে তল্লাশি চালিয়ে সাবেক ও বর্তমান তিন ছাত্রকে ধরে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।


বৃহস্পতিবার (১আগস্ট) দুপুরে থানা থেকে তাদেরকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষক। দুপুর আড়াইটার দিকে সিলেট কোতোয়ালিশ থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নেয়া হয়।


এর আগে বুধবার দিবাগত গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন নিহারীপাড়া এলাকার একট মেস থেকে তাদেরকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।


আটককৃতরা হলেন- শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মনির হোসেন, শাবি'র পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো. সোহাগ এবং সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আনাস মিয়া। তাঁরা সবাই নিহারীপাড়ায় ব্লক সি-৭১ নম্বর বাসায় মেসে ভাড়া থাকেন।


আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন।


জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষকেরা সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা আলোচনা করে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। 


শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন- গণিত বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শাহ আতিকুল হক ও পরিসংখ্যান বিভাগের খালিদুর রহমান।


অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আমরা খবর পাই, সন্দেহভাজনভাবে ওই শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়েছে। তারা আইনগত প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পরে থানার ওসির সঙ্গে কথা বললে আমাদের জিম্মায় শিক্ষার্থীদের ছাড়তে রাজি হন। শিক্ষার্থীরা এখন নিরাপদে আছেন।


এব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, রাতে আমাদের কাছে খবর আসে, ওই মেসে মামলার আসামি অবস্থান করছেন। রাতে আমরা মেসে যাই। শিক্ষার্থীদের কয়েকজন দরজা খুলে দিলেও একটি কক্ষের দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে ভেতরে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছিলেন। দেড় ঘণ্টা পর কক্ষ খুললে সন্দেহজনকভাবে তিনজনকে থানায় নিয়ে আসি। পরে শিক্ষকরা এলে শিক্ষার্থীদের তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।


সিলেট প্রতিদিন / এমএ


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি