লাইফ সাপোর্টে সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। গেল ২৩ জুলাই রাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেন।
জুয়েলের শারীরিক অবস্থা নিয়ে স্ত্রী সঙ্গীতা বলেন, দোয়া করবেন সে যেন লাইফ সাপোর্ট থেকে ফিরে আসতে পারে। তার প্লাটিলেট কমে গেছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে গেছে।
জানা গেছে, ২০১১ সালে তার লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও ক্যান্সার সংক্রমিত হয়। তখন থেকেই দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসাসেবা চলছিল।
১৯৯৩ সালে জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয়। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে (১৯৯৪)’, ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)।
একটি করে গান নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে আরও দুটি অ্যালবাম ‘তাতে কি বা আসে যায়’ (২০১৬) এবং ‘এই সবুজের ধানক্ষেত’ (২০১৬)। ১০টি একক অ্যালবামের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি। এটি প্রকাশের পর তার নাম হয়ে যায় ‘এক বিকেলের জুয়েল’।
সংগীতের পাশাপাশি টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জুয়েল।