মহসিন রনি, বিয়ানীবাজার : তৃতীয় দফায় সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় বন্যায় কৃষিতে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা জুড়ে কয়েকশো হেক্টর আবাদি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে যার ফলে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। শুধু ফসলি জমি নয় সেই তালিকায় আছেন বিয়ানীবাজারের মৎস্য খামারিরা বন্যার পানিতে জনপ্রতি প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অনেকের।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলা জুড়ে ১৬০ হেক্টর জমির আউস ধানের মধ্যে ১২০ হেক্টর জমির আউস ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শুধু আউস ধান নয় সেই তালিকায় রয়েছে ৫০০ হেক্টর সবজির জমি যেখানে দিনরাত পরিশ্রম করা কৃষকদের কষ্টার্জিত শ্রম আর অর্থ বন্যাতে নিমিষেই শেষ হয়ে গেছে। সরকারি ভাবে স্থানীয় এমপি সহ কৃষি কর্মকর্তা উপজেলায় ২০০ জন কৃষকের মধ্যে বন্যা চলাকালীন সময়ে বীজ সহ নানা সহায়তা প্রদান করলেও প্রয়োজনের তুলনায় এটি স্বল্প।
সরেজমিনে বিয়ানীবাজার উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, ফসলি জমি গুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফসলী জমির পাশাপাশি অনেকের মাছ চাষের পুকুরের কয়েক লক্ষ টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। চারিদিকে হাহাকার বিরাজ করছে এমন পরিস্থিতিতে কৃষকরা অনেকটাই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে কৃষক আব্দুল খালিক বলেন, বন্যার কারনে আমার ফসলী জমি তলিয়ে গেছে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আনুমানিক প্রায় দুই থেকে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনো সহয়তা পাইনি।
মৎস্য খামার মালিক আলম খান বলেন, আমার প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ২০২২ সালের বন্যার ক্ষয়ক্ষতির দকল কাটিয়ে উঠবার আগেই এমন ধাক্কা আমাকে অনেকটা পেছনে ফেলে দিয়েছে। আমার এখানেই অনেকের কর্মসংস্থান ছিল বন্যায় সব কিছু এলোমেলো করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান হেকিম বলেন, বিয়ানীবাজার উপজেলায় সম্প্রতিক সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুইশতজন কৃষক'কে আমরা পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়াও যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের তালিকা রাখছি যাতে করে নতুন করে কোনো সহয়তা আসলে তাদের দিতে পারি।
বিয়ানীবাজার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুদ্দোজা বলেন, আমরা ধারণা করছি প্রায় ৩৫০ জন মৎস্যজীবী বা খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তবে মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ আসলে আমরা পাশে দাঁড়াবো।