মন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি তার টুইটে লিখেছেন, “এটা খুবই গর্বের বিষয় ট্রেজারি ও সিটি মিনিস্টারের ইকোনমিক সেক্রেটারি হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য। আমাদের ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি ব্রিটেনের অন্যতম বড় সম্পদ। অর্থনীতির গতিশীলতা ফিরিয়ে আনা আমার সবচেয়ে বড় কাজ। নষ্ট করার মতো সময় নেই।”
টিউলিপ সিদ্দিক (৪১) এবার লেবার পার্টির মনোনয়নে টানা চতুর্থবারের মতো যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন সরকারে তার দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে টিউলিপ সিদ্দিকের পরিচয় দেওয়া হয়েছে, পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি (ইকোনোমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার)।
এই দায়িত্বে থেকে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবেন টিউলিপ সিদ্দিক। গত মে মাসে তিনি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন, লেবার পার্টি ক্ষমতায় এলে আর্থিক খাতে প্রতিযোগিতা ও প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর ক্ষেত্রে যেসব বাধা রয়েছে, সেগুলো অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
টিউলিপ সিদ্দিক ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে তিনি প্রথম যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। কনজারভেটিভ পার্টির এক সময়ের নিরাপদ এই আসন লেবার পার্টিকে উপহার দিয়ে তিনি এখন আসনটিকে লেবার পার্টির নিরাপদ আসনে পরিণত করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক। ২০১৬ সাল থেকে তিনি লেবার পার্টির হয়ে ছায়া শিক্ষামন্ত্রী, সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের ভাইস চেয়ার, নারী ও সমতা নির্বাচন কমিটির সদস্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছেন।
সফিক আহমেদ সিদ্দিক ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া টিউলিপ ২০১০ সালে ক্যামডেন কাউন্সিলের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এর মধ্য দিয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার পথচলা শুরু।
এদিকে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি থেকে রুশনারা আলীও মন্ত্রী হয়েছেন। তিনি মূলত হাউজিং, স্থানীয় সরকার ও কমিউনিটি নিয়ে কাজ করবেন।
অপর দুই ব্রিটিশ বাংলাদেশি নারী এমপি রুপা হক ও আপসানা বেগম কোনও দায়িত্ব পাননি।