২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে অভিষেক হয়েছিল ইংল্যান্ডের পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের। ২২ বছর পর বুধবার সেই লর্ডসেই বিদায়ী টেস্ট খেলতে মাঠে নামলেন ৪১ বছর বয়সি এই পেসার।
১৮৭ টেস্টে তার নামের পাশে রয়েছে ঠিক ৭০০ উইকেট। বিদায়ী টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে লর্ডসে হাজির হয়েছেন অ্যান্ডারসনের দুই মেয়ে, স্ত্রী এবং বাবা-মা।
‘ক্রিকেটের মক্কা’ খ্যাত এই লর্ডসে ঘিরে আছে অনেক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ২০০৭ সাল থেকে এখানে বল মাঠে গড়াবার ঠিক আগমুহূর্তে পাঁচ মিনিট ঢং ঢং করে ঘণ্টা বাজানোর রীতি শুরু হয়। যা আজও চলমান। বিখ্যাত সব ক্রিকেটাররা এই ঘণ্টা বাজিয়ে খেলা শুরু করেছেন। এবার সেই ভূমিকায় দেখা গেল অ্যান্ডারসনের পরিবারকে।
লর্ডসের ঘণ্টা বাজানোর শিকল হাতে ছিলেন অ্যান্ডারসন কন্যা লরা এবং রুবি। তাদের পাশে দেখা যায় স্ত্রী ড্যানিয়েলা লয়েডকে। সঙ্গে ছিলেন অ্যান্ডারসনের বাবা মাইকেল অ্যান্ডারসন ও মা ক্যাথরিন অ্যান্ডারসনও।
লাল বলের ক্রিকেটে এখনো একটানা বোলিং করে যাওয়া সামর্থ্য রয়েছে অ্যান্ডারসনের। চলতি বছরে ভারত সিরিজেই সেটা দেখিয়েছেন। কিন্তু আসন্ন অ্যাশেজ এবং টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্যান্য সিরিজ সামনে রেখে দল পুনর্গঠন করতে চায় অধিনায়ক বেন স্টোকস। এ কারণেই থামতে হচ্ছে অ্যান্ডারসনকে।
লর্ডসে মাঠে নামার আগে অ্যান্ডারসন বলেন, ‘আমার তো মনে হয় এখনো যথেষ্ট ভালো বল করি। আগের মতোই বল করতে পারি। এটাও ঠিক, একটা সময় থামতেই হয়। এখন না হলেও এক বা দুই বছরের মধ্যে অবসর নিতেই হতো’।
বাইশ গজে গতির ঝড়ে বহু ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করেছেন অ্যান্ডারসন। ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম পেসার হিসেবে ৭০০ উইকেট স্পর্শ করা চাট্টিখানি বিষয় নয়। একদিন এমন ইতিহাস গড়া বোলারকেও ছাড়তে হয় তার জায়গা। কঠিন এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা চ্যালেঞ্জ বলছেন অ্যান্ডারসন।
‘আসলে আমাকে একটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সিদ্ধান্তটা আমাকে মেনে নিতে হয়েছে। দুই মাস ধরে বিষয়টার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয়েছে, সেটাও বুঝেছি। দল এবং টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা চাচ্ছে, সেটাই হওয়া উচিত।’