সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে গরু চুরির পরিকল্পনাকালে ৪জন গরু চোর আটক করা হয়। মঙ্গলবার (২ জুন) জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের কহাইগড় গ্রামের বদরুল আলমের গরুর খামারের দরজার তালা ভেঙ্গে ৬টি গরু অজ্ঞাতনামা চোরেরা চুরি করে।
গরু চুরির ঘটনায় জৈন্তাপুর থানায় জিডি দায়ের করা হয়। গরু চুরির রহস্যের অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেন জৈন্তাপুর মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আলম। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন তীব্র বন্যার মধ্যে গরু চুরির লক্ষ্যে হরিপুর বাজারের তারুহাটিতে গরু চোর চক্রের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। তাৎক্ষনিক ভাবে উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ২ জুলাই সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টায় হরিপুর বাজারের তারুহাটিতে অভিযান পরিচালনা করে ৪জন পেশাদার গরু চোরদের আটক করে জৈন্তাপুর থানায় নিয়ে আসেন।
আটককৃতরা হলেন হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থানার বখরাপুর গ্রামের মৃত আঃ ছাত্তারের ছেলে জাকির হোসেন মিলন (৪০), সিলেট জেলার গোপালগঞ্জ থানার কালিয়া ডহর (চন্দরপুর) গ্রামের মজির উদ্দিনের ছেলে শাহিন মিয়া প্রকাশ শিআলু (৫৩), বিয়ানীবাজার থানার মাথিউরা পূর্বপাড়া গ্রামের সমজ উদ্দিন প্রকাশ মটন মিয়ার ছেলে রাজন আহমেদ (৩০) এবং জৈন্তাপুর উপজেলার কহাইগড় ১মখন্ড গ্রামের মৃত শফিক আহমদ প্রকাশ শপির মিয়ার ছেলে মন্তর মিয়া(৫৩)।
ধৃত আসামীরা থানা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কহাইগড় গ্রামে ৬টি গরু চুরির ঘটনার জড়ীত থাকার কথা স্বীকার করে। অপরদিকে অটককৃত প্রত্যেক আসামীদের বিরুদ্ধে সিলেট জেলা সহ বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি, চুরি ও অস্ত্র আইনের প্রায় ১৬টি মামলা মামলা চলমান রয়েছে। পুলিশ জানায় বন্যার সুযোগে তারা গরু চুরির উদ্দেশ্য উপজেলার হরিপুর বাজারের তারুহাটিতে অবস্থান নিয়েছিল। গ্রেফতারকৃত বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএম বলেন, গরু চুরির ঘটনায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে তাদেরকে সনাক্ত করা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টার কারনে ৬টি গরু চুরির ঘটনায় মূল আসামীদের গ্রেফতার করে মামলা দায়ের পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি।