এখন জিলহজ মাস। সামনেই পবিত্র হজ। এ মাসে বাড়তি পূণ্যের জন্য অনেকেই নফল রোজা রাখেন। সোমবার রোজা রেখেছিলেন তারাও। তিন বছর আগে যুগলবন্দি হয়েছিলেন করিম ও শাম্মী দম্পতি। প্রায় দেড় বছরের এক ছেলে নিয়ে সুখেই কাটছিল তাদের দিন। করিম সামান্য বেতনে এক ট্রাভেলস এজেন্সিতে চাকরি করতেন।
সোমবার (১০ জুন) জিলহজ মাসের নফল রোজা রাখার উদ্দেশ্যে রাতে সেহরি খেয়েছিলেন দুজনে। এরপর ফজরের নামাজ শেষে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। এরপর একমাত্র বুকের ধনকে নিয়েই চিরনিদ্রায় ঢলে পড়লেন তারা।
সকাল ৭টার দিকে টিলাধসে মাটিচাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকে স্তব্দ সবাই। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন করিম ও শাম্মীর বাবা-মা। এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা।
করিম-শাম্মী দম্পতির বাড়ি সিলেট মহানগরীর চামেলিবাগে। করিমের ভালো নাম আগা করিম উদ্দিন (৩০)। তার স্ত্রী শাম্মি আক্তার রুজি (২৪) একই এলাকার আইয়ুব উদ্দিনের মেয়ে।
একই ঘটনায় প্রায় নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন করিম উদ্দিনের মা ইয়াসমিন বেগম (৬৫), বড় ভাই আগা রহিম উদ্দিন (৩৮), তার স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৩০), মেয়ে তাহসিনা (১০), তাসনিয়া (৫) ও ছয় মাসের শিশু তাসকিয়া।
ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতনির মৃত্যু কোনোভাবে মানতে পারছেন না করিম উদ্দিনের মা ইয়াসমিন বেগম। টিলাধসে মাটিচাপা পড়েছিলেন তিনিও। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। আহাজারি করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি।