দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক যুবককে মারধর ও বাসা ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকালে দক্ষিণ ভার্থখলাস্থ ডি ব্লক ৪১২ নাম্বার বাসায় এই ভাংচুর করা হয়।
এঘটনায় খোজারখলা এলাকার মৃত মানিক মিয়ার ছেলে কাওসার মিয়া (২৯), মাহমদ মিয়ার ছেলে মুস্তাক (৩০), মৃত মনির মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন অপু (৩২), ইসলাম উদ্দিনের ছেলে নাঈম (২৫), সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দাখিল করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে দক্ষিণ ভার্থখলা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আহমেদ হোসেন মাহিনের বাসায় অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এসময় বসতঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে অনুমানিক ১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। তখন বাসার ড্রয়ার ভেঙে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও আলমিরার ড্রয়ারে থাকা ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। পরে বাসায় থাকা মানুষদের খুন করার হুমকি দেয়।
মাহিনের স্ত্রী সালমা খাতুন তানিয়া জানায়, তাদের বাসার সামনে বালু রাখতে না দেওয়ায় প্রতিপক্ষ আলতাফের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয় এতে আমার স্বামীকে তারা কয়েকজন মিলে মারপিট করে। আমার স্বামী নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রতিহত করার সময় আলতাফ আহত হয়। কিছু সময় পরে পুলিশ এসে আমার স্বামী মাহিনকে ধরে নিয়ে যায়। আমরা তখন ভয়ে বাসায় ছিলাম হঠাৎ করে বিকালের দিকে কিছু লোক এসে আমাদের বাসায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাসা ভাংচুর করে। বাসায় থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। আমার অসুস্থ শাশুড়ীকে নিয়ে আলাদা একটি রুমে দরজা বন্ধ করে কোনো রকমে প্রান বাঁচাই। তখন হামলাকারীরা আমাদেরকে প্রাণে মারার হুমকিও দিয়ে যায়।
দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, দুপুরের দিকে মাহিন নামের এক ছেলে আলতাফ হোসেন নামের এক যুবককে স্টেপিং করে আমরা খবর পেয়ে মাহিনকে আটক করি। পরবর্তীতে সন্ধ্যার দিকে আবার খবর পাই প্রতিপক্ষরা মাহিনের বাসায় হামলা চালিয়ে বাসা ভাংচুর করে। সরেজমিনে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছে। আমরা অভিযোগ পেয়েছি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।