তাসলিমা খানম বীথি
আজ প্রথম আমাদের মোবাইলে আব্বার মোবাইল নাম্বারটি আব্বা লিখে সেইভ করি। অবশেষে আব্বা মোবাইল ব্যবহার করছেন। এটি বোনদের জন্য অনেক আনন্দের। আমাদের ঘরে ম্মার্ট মোবাইল লেপটপ ওয়াইফাই ব্যবহার করলোও আব্বা সবসময় এসব থেকে দূরে। যতবার চেষ্টা করছি মোবাইল দিতে তত তিনি এডিয়ে যেতেন।
আগের যুগেও মানুষ মোবাইল ছিল না তারা কি চলছে না। কত কথা। আব্বা আম্মা সাথে যে কোন বিষয় জোর করতাম না। তাদের যেভাবে ভালো লাগে থাকুক। তাদের খুশি সবার আগে। প্রায় সময় আব্বা বাইরে গেলে লেইট হলোও টেনশন হত। বেশি দেরি হলে কোন দোকানে গিয়ে আব্বা আমাদের নাম্বারে কল দিয়ে জানাতেন। এভাবে চলছে আমাদের দিনকাল।
2.এ মাসে আমরা নতুন বাসা নতুন এলাকা এসেছি। অফিস থেকে বাসা ফিরতে কয়দিন আমারও সমস্যা হয় গল্লি চিনতাম না। আব্বা নামাজে গিয়ে তিনিও হারিয়ে যান। অনেকক্ষন পর বাসা খুজে পায়। এ কথা শুনে এবার মোবাইল ব্যবহার করতেই হবে সবার কথা তিনি রাজী হন। আজকে নতুন মোবাইল কিনে এনে বাসা দেখি আব্বা এশার নামাজে মসজিদে। আমরা আব্বার অপেক্ষা। তিনি আসার পর মোবােইল হাতে দিতে হাসতে লাগলেন। আব্বাকে মোবাইল দিতে সবার আগে তিনি বড় মেয়েকে কল দিয়ে জানতে চাইলেন নামাজ পরছো, খাইছো। নাতীপুতি সবার খোঁজে খবর নিলেন।
3. সন্তানের জীবনে বাবামা অনেক বড় সম্পদ। আমরা মেয়ে সন্তান হলেও আব্বা আম্মা কখনো ছেলে সন্তানের জন্য আফসোস করিনি। আমাদের নিয়ে তারা টেনশন করলেও খুশি আছেন। কর্মজীবন শুরু থেকেই সবসময় আমার পরিবার মাবাবা জন্যই সবকিছু করার চেষ্টা থাকি। পৃথিবীর সবার বাবা মা ভালো থাকুক তাদের সন্তানের কাছে।