রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০২ পূর্বাহ্ন

বইয়ের ছবি থেকে বাস্তবে সিলেটের চা-বাগান অপূর্ব

  • প্রকাশের সময় : ১২/০৪/২০২৪ ১১:২৮:০৮
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের
Share
72

ভ্রমণ প্রেয়সী মানুষের পাদচারণায় মুখরিত সিলেটের পর্যটন স্পটগুলো। প্রতিবারের মতো এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের টানা ছুটিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে সিলেটের চা-বাগানগুলো। পরিবার পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করতে এক স্থান অন্য স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা। চা-বাগানের দৃশ্য দেখে কেউ বইয়ের পাতায় চা-বাগানের ছবি থেকে বেশি সুন্দর বলে মন্তব্য করেছেন আর কেউই কবিতার পঙক্তি ও গানের মাধ্যমে চা বাগান নিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করছেন। 


শুক্রবার (১২এপ্রিল) ঈদের দ্বিতীয় দিন ও সরকারি ছুটির তৃতীয় দিনে সিলেটের মালনী ছড়া চা-বাগান ও লাক্কাতুরা ন্যাশনাল টি ও তারাপুর চা-বাগানে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সিলেটে এসেছেন অনেকেই। 


সরেজমিনে সিলেটের মালনীছড়া, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে লাক্কাতুরা ন্যাশনাল টি ও তারাপুর চা বাগান ঘুরে দেখা গেছে, চা বাগানগুলোর উঁচু-নিচু, আঁকা-বাঁকা পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা। কেউ একতারা হাতে নিয়ে গান গাইছেন। কেউবা কবিতা আবৃত্তি করছেন। আবার অনেকেই সুন্দর মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখতে মুঠোফোনে ও ডিএসএলআর ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দী করতে দেখা যায়।


সিলেটের লাক্কাতুরা চা বাগানে গিয়ে কথা হয় বরিশাল থেকে আসা চন্দনা বিশ্বাসের সঙ্গে। বরিশালে একটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্বে রয়েছেন। 


বইয়ের চিত্র থেকে বাস্তবে সিলেটের চা-বাগানগুলো অনেক অনেক সুন্দর ও স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরপুর বলে দাবি করে চন্দন বিশ্বাস বলেন, এত সুন্দর চা-বাগান আর কখনো দেখা হয়নি।এই প্রথম সিলেটে ঘুরতে এসেছি। চা-বাগান ঘুরে দেখে খুব ভালো লাগছে।এক কথায় অপূর্ব। মনে হচ্ছে প্রকৃতি যেন ঢেলে দিয়েছে।তাই আমি সবাইকে আহবান করছি সিলেটের চা বাগান দেখতে আসার জন্য।