সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন

কখনো ম্যাজিস্ট্রেট, কখনো মেজর পরিচয়ে প্রতারণা করতেন মুক্তা

  • প্রকাশের সময় : ০২/০৪/২০২৪ ০৪:৫৪:২৫
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের
Share
42

কখনো হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট ও কখনো ডিজিএফআইয়ের মেজর পরিচয় দিয়ে প্রতারণা এক নারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। তার নাম মুক্তা পারভিন (৩১)।


গ্রেফতার মুক্তা চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একজনের কাছ থেকেই হাতিয়েছেন এক কোটি ২০ লাখ টাকা।


মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।


তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে রাজশাহীর বোয়ালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় একটি সংঘবন্ধ প্রতারক চক্র নিজেদের কখনো হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট, আবার কখনো ডিজিএফআইয়ের মেজর পরিচয় দিয়ে সহজ-সরল ও নিরীহ লোকজনদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।


চক্রটি রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানাধীন ছোট বনগ্রাম এলাকার শেখ আব্দুল্লাহ (৩৭) নামের একজনের কাছ থেকে সরকারি দপ্তরে চাকরি পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে এক কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শেখ আব্দুল্লাহ বুঝতে পারেন যে, তিনি প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন।


অতিরিক্ত ডিআইজি ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন, পরে শেখ আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূলহোতা মুক্তা পারভিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে চক্রটির আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান।


ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-১০ এর একটি দল প্রতারক চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত  শুরু করে।


এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজবাড়ীর সদর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হাইকোর্টের ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূলহোতা মুক্তা পারভিনকে গ্রেফতার করে।


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার পারভিন হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূলহোতা বলে স্বীকার করেছেন।


সিলেট প্রতিদিন / এমএ


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি