হবিগঞ্জ শহরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অব্যাহতভাবে চুরির প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সচেতন নাগরিক সমাজ ও ব্যবসায়ীরা। এ সময় সড়কে প্রায় ৪ ঘন্টা যাবত যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১১ টা থেকে বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত জেলা সদরের প্রধান সড়ক টাউন হল এলাকায় অবরোধ করে রাখা হয়। এ সময় সড়কে গাছসহ মালামাল ফেলে রেখে তারা বসে থাকেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, ইদানিং শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঘনঘন চুরি সংঘটিত হয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের করা হলেও কোন কার্যাকরি পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পুলিশের যোগসাজশে এসব চুরি সংঘটিত হচ্ছে।
জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে শহরের টাউনহল এলাকার মোবাইল ফোনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গেজেট হবিগঞ্জে চুরি সংঘটিত হয়। চোররা নগদ টাকা, মোবাইলসহ প্রায় ও ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে হবিগঞ্জ শহরে অব্যাহতভাবে চুরির ঘটনা ঘটছে। যে কারণে অনেক ব্যবসায়ীর পথে বসতে হয়েছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে খোয়াই থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন খানসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন। আন্দোলনে শতাধিক ব্যবসায়ী অংশ নেন। আন্দোলন চলাকালে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
গেজেট হবিগঞ্জ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আরাফাত চৌধুরী জানান, তার দোকান এখন পর্যন্ত ৩ বার চুরি হয়েছে। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি ৩ বার চুরি হয়, তাহলে আর কিভাবে ব্যবসায় করব। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমাদের এই অবরোধ নিয়ে মশকারি করে বলেন,‘ওরা যখন ক্লান্ত হবে এমনিতেই রাস্তা ছেড়ে চলে যাবে।’ এসব চুরি বন্ধ ও অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমানের দাবি জানান।
হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর দেওয়ান জানান, এ পর্যন্ত গেজেট হবিগঞ্জ ব্যবসায় প্রতিষ্টানটি ৩ বার চুরি হয়েছে। পুলিশ কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়াতে শহর জুড়ে চুরি বেড়েছে। তিনি জানান, রোজাদার ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে আমাদের আজকের মতো অবরোধ স্থগিত করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, একই স্থানে আগামীকাল দুপুর ১২ টা থেকে আবারও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।