এক সময় সূর্যের আলোতে কৃষি জমিতে থাকালেই কৃষকদের হাড়ভাঙা পরিশ্রমে ফসল ফলানোর যে সকল চিত্র চোখে পরতো কালের বিবর্তনে এখন সেই চিত্র গুলো অনেকটাই বিলুপ্ত হতে বসেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রমতে উপজেলা জুড়ে বর্তমানে যেখানে মোট আবাদি জমির সংখ্যা চৌদ্দ হাজার পাঁচশ হেক্টর সেখানে বোরো মৌসুমে আবাদ হচ্ছে মাত্র ছয় হাজার পাঁচশ হেক্টর জমিতে।
বেশিরভাগ জমির মালিক প্রবাসে থাকার ফলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক কৃষকই জমির অনুমতি না পেয়ে ঘরে বসেই দিন পার করছেন যেখানে যারা সুযোগ পাচ্ছেন তাদের রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ সেচ ব্যবস্থার ঘাটতি। এছাড়াও আর্থিক ভাবে সচ্ছল হওয়াতে দিন দিন উপজেলাটিতে কৃষকদের সংখ্যা কমছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সরেজমিনে বিয়ানীবাজার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন সহ পৌরসভা ঘুরে দেখা যায়, অনেক ফসলী জমি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। যেখানে এক সময় শীতকালীন শাক সবজি সহ নানা ধরনের ফসলের সমারোহে মুগ্ধ হতো যে কেউ। স্থানীয় বাজার গুলোতে এক সময় যেখানে তরতাজা ফসলে মুখর থাকতো সেখানে এখন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আমদানিকৃত ভেজাল খাদ্যের উপর নির্ভর হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
কৃষক মুজিব আহমেদ বলেন, আগে অনেকেই আমার সাথে কৃষি কাজ করতো ফসল ফলাত কিন্তু বর্তমানে সেচের ব্যবস্থা কম থাকার কারনে এছাড়াও প্রবাসীর সংখ্যা বাড়ার ফলে আর্থিক ভাবে সচ্ছল হওয়াতে অনেকেই কৃষি কাজ ছেড়ে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান হেকিম বলেন, বর্তমানে বোরো মৌসুমে দেখবেন অনেক জমিই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে তার দুইটা কারন একটা হচ্ছে সেচের ব্যবস্থার ঘাটতি আরেকটা হচ্ছে বেশিরভাগ জমির মালিক প্রবাসে থাকার ফলে জমি গুলো পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
তবে আমরা মাঠ পর্যায় কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি এ ছাড়াও সরকারি ভাবে কৃষকদেরকে সুযোগ সুবিধা সহ মাঠমুখী করার জন্য চেষ্টা চলমান রয়েছে।