ছাতকে সরকারি ভাবে আমন ধান সংগ্রহ কার্যক্রম অনেকটা ভেস্তে গেছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি এখানকার খাদ্য বিভাগ। লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৪ ভাগও পূরণ করা সম্ভব হয়নি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার বাকি শতকরা ৯৭ ভাগ পূরণ করার বিষয়টি প্রায়ই অসম্ভব বলে মনে করছেন এখানের খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
এ ক্ষেত্রে সরকারি ভাবে নির্ধারিত ক্রয়মুল্য ও বাজার মুল্যের পার্থক্যটা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রধান অন্তরায় বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
৩৯৭ মেট্রিক টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর আমন ধান সংগ্রহ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পীনাক ভট্টাচার্য্য, ওসিএলএসডি সুলতানা পারভীনের উপস্থিতিতে উদ্বোধনী দিনে উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের কৃষক হাবিবুর রহমানের দেয়া তিন মেট্রিক টন ধানই ছিল লক্ষ্যমাত্রার বড় অর্জন।পরবর্তী ১মাস ১৯ দিনে সংগ্রহ হয় আরো ৯ মেট্রিক টন আমন।
খাদ্য গুদামের দেয়া তথ্যমতে সরকারি মূল্য প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে এখন পর্যন্ত মাত্র ১২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।একই সাথে চলমান রয়েছে চাল সংগ্রহ কার্যক্রম। চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। চাল সংগ্রহে এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৬৬ ভাগ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে ৯৬৪ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও অর্জিত হয়েছে ৬৩৭ মেট্রিক টন। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব কিনা এ প্রশ্নের জবাবে ওসিএলএসডি সুলতানা পারভীন জানান, কৃষকরা গুদামে ধান দিতে আগ্রহ দেখালে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। অসাধু মজুদদাররা কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার মুল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে সরকারি মূল্যের সাথে বাজার মূল্যের একটা পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গুদামে ধান বিক্রি করতে কৃষকরা আগ্রহ দেখাচ্ছে না।