পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে তিনদিন ধরে চলছে ফলাফল ঘোষণা। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে দেশটিতে ২৬৪ আসনে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশি আসনে জয় পেয়েছেন।
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি)। দেশটির জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোট হয়েছে। একটি আসনে ফল স্থগিত থাকার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ২৬৪ আসনে ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের প্রায় সবাই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাগারে থাকা ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন।
দেশটির নির্বাচন কমিশনের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৭আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৬ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ৩৭টি আসন।
এদিকে এরইমধ্যে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশটির ১৬তম সাধারণ নির্বাচনে জয় দাবি করেছেন। একইসঙ্গে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ না হলে সমর্থকদের বিক্ষোভে নামারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল সমর্থিত প্রার্থীরা সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছেন বলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর একজন সিনিয়র সহকারী শনিবার জানিয়েছেন।
অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সরকার গঠনের জন্য পিটিআইকে আমন্ত্রণ জানাবেন বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান গহর আলী খান। কারণ, জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে দলটি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়েছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমের উদ্দেশে গহর আলী বলেন, আমরা কারও সঙ্গে ঝগড়া করতে চাই না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাব এবং সরকার গঠন করব।
গহর আলি বলেন, জনগণ অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ভোট গণনা করে ফরম–৪৫ পূরণ করেছেন।