হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় ইজিবাইক চালক আতাউর রহমান (৫৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আতাউরকে হত্যা করে মরদেহ পুকুর পাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। পরে তার ইজিবাইকটি ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার বালিয়াড়ী গ্রামের মৃত আজিজুর রহমান মালাই মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান রামিম (২১) ও একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে শাকিব (২০)।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চুনারুঘাট থানা কমপ্লেক্সে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান চুনারুঘাট-মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়- গোয়েন্দা তথ্য ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুক্রবার ভোরে উপজেলার বালিয়াড়ী গ্রাম থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রথমে হাবিবুর রহমান রামিমকে গ্রেফতার করা হয়। রামিমের তথ্যের ভিত্তিতে তার সহযোগী শাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত ২টি ছুরি ও ১টি দা উদ্ধার করে পুলিশ।
ব্রিফিংএ সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে বালিয়াড়ী গ্রামের টমটম চালক আতাউর রহমান প্রতিদিনের ন্যায় শায়েস্তাগঞ্জ দুর্গাপুর এলাকায় যাচ্ছিলেন। এসময় ঘাতক রামিম আতাউরের টমটম ভাড়া করে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে ৭নং উবাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ঠাকুরের বাড়ির পিছনে পুকুর পাড়ে গিয়ে আতাউরকে ঝাপটে ধরে পেটে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক আহত করে। পরে ঘাতকরা ইজিবাইক চালকের গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে ইজিবাইকটি নিয়ে যায়। এরপর তা শায়েস্তাগঞ্জে নিয়ে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চুনারুঘাটের বালিয়াড়ী গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান এজাজ ঠাকুর চৌধুরীর বাড়ির পেছনের পুকুর পাড় থেকে ইজিবাইকচালক আতাউর রহমানের গলা ও হাত-পায়ের রগকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।