দু’টি বর্ণ সমন্বয়ে একটি শব্দ প্রেম। কবিতার মত উপভোগ্য,নীলিমার মত প্রশান্ত, সুরের মত গহীন, চুম্বকের মত আকর্ষক, মানে না বাঁধা, মানে না বৈষম্য। যে একবার ডুবেছে সেই তো প্রেমের স্বাদ বুঝে। প্রেম শ্বাশ্বত, সুন্দর, চিরন্তন, অনির্বাণ, অবিনশ্বর ও সংজ্ঞাহীন। প্রেম মানুষকে দেয় ঐশ্বর্য্য।
মৃত্যুক দেয় মহিমা,বঞ্চিতাকে করে বিদগ্ধ। প্রেম-প্রীতি আছে বলে শত ঝড় ঝঞ্জার মাঝেও মাথা উচুঁ করে দাঁড়াবার প্রবল ক্ষমতা পায় মানুষ। উষ্ণ হৃদয়ে প্রেমের উপস্থিতি মানুষকে আঘাতে জর্জরিত করে আবার ধৈর্য ধরার শক্তিও যোগায়। প্রেমই জীবনের স্বার্থকতা, আবার প্রেমই জীবনের ব্যর্থতা।
প্রেম জানে না জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সময় ও স্থান। প্রেমের আকর্ষণ বড় তীব্র। শত বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে জীবনের এই অমসৃণ দুর্ভেদ্য পথ ধরে সব জেনেশুনেই তীব্র এক অজানা পথে সুখের আশায় এগিয়ে যায় মানব-মানবী। এদের কাছে থাকে না অর্থের লালসা, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চিন্তা চেতনা। লোক চক্ষুর আড়ালে প্রেম এগিয়ে যায় তার অভিষ্ট লক্ষ্যে।
সব মিলিয়ে বিনা সূতায় বাঁধা এক অদৃশ্য বন্ধনের তীব্র টান হলো ভালোবাসা। এটা মানুষের এক বিশেষ মনোবৃত্তিক অবস্থার নাম। বিধাতার এক বিস্ময়কর মূল্যবান সৃষ্টি ভালোবাসা। এটা চোখে দেখা যায় না; হৃদয়ে হৃদয় রেখে অনুভব করতে হয়। মনের গভীরের তীব্র ভালোলাগা থেকে সৃষ্টি হয় ভালোবাসার। জীবনের পূর্ণতার জন্য এটা আবশ্যিক বিষয়ের অপর নাম। এই ভালোবাসা মানুষের সব কাজের প্রেরণা।
প্রেমে পড়া মানে নির্ভরশীল হয়ে পড়া। তুমি যার প্রেমে পড়বে সে তোমার জগতের একটা বিরাট অংশ দখল করে নেবে। যদি কোনো কারণে সে তোমাকে ছেড়ে চলে যায় তবে সে তোমার জগতের ঐ বিরাট অংশটাও নিয়ে যাবে। তুমি হয়ে পড়বে শূন্য জগতের বাসিন্দা।