রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন

সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় গোলাপগঞ্জ

  • প্রকাশের সময় : ০৭/০৯/২০২৩ ০৪:০৮:৩৪
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের
Share
212

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে ভরপুর গোলাপগঞ্জ উপজেলা সূদুর অতীতকাল থেকেই দেশে-বিদেশে খ্যাতিমান। সুদুর অতীতের ইতিহাসে গোলাপগঞ্জ অঞ্চলের নাম ‘ঢাকাদক্ষিণ’ নামে খ্যাত। মোগল আমলে দেওয়ান গোলাব রায় বা গোলাম রায় নামক এক রাজস্ব কর্মকর্তার নাম থেকে পরিবর্তিত হয়ে ‘গোলাপগঞ্জ’ নামকরণ হয়েছে বলে ঐতিহাসিকদের ধারণা। নামের উৎপত্তি যেভাবেই হউক গোলাপগঞ্জের গোলাপের সৌরভ সুদুর অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত অব্যাহত আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাল্লাহ। বিভিন্ন ক্ষেত্রেরন্যায় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়, যার প্রমাণ আজকের এই সাহিত্যমেলা। আমি সংক্ষেপে এ সম্পর্কে আলোকপাত করছি।

সংস্কৃত সাহিত্য

রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন, ‘সংস্কৃতচর্চার দিক থেকে কাশির পরেই সিলেটের অবস্থান। কারণ, খোদ কাশিতে বিভিন্ন সময় সিলেটি সংস্কৃত পন্ডিতদের প্রাধান্য ছিল। একসময় কাশির প্রধান সংস্কৃত পন্ডিত ছিলেন সিলেটের কৃষ্ণহরি বিশারদ এবং তাঁর ছেলে গঙ্গাহরি বিদ্যারতœ। তাঁদের প্রভাব এত বেশি ছিল যে, ভাষা ও শাস্ত্রগত কোনো সমস্যা দেখা দিলে সবাই তাঁদের সমাধান মেনে নিতেন’ (আজিজ ও অন্যান্য, দ্বিতীয় খন্ড, ২০০৬:৩৩৯)। কাশির পরেই সিলেটী পন্ডিত প্রধান স্থান ছিল নবদ্বীপ ও শান্তিপুর। নবদ্বীপের মায়াপুর পল্লীর শ্রীহট্টিয়া পাড়াকে কেন্দ্র করে বিস্তার লাভ করেছিল সিলেটী উপনিবেশ। শ্রীচৈতন্যের পিতা ঢাকাদক্ষিণের জগন্নাথ মিশ্র তাঁর পন্ডিত্যের জন্য ‘মিশ্র পুরন্দর’ বা ‘পন্ডিত শ্রেষ্ঠ’ উপাধি লাভ করেছিলেন। তিনি ছিলেন ১৪০০ শতাব্দীর লোক। ঢাকাদক্ষিণ এবং নবদ্বীপে শিক্ষালাভের পর তিনি নবদ্বীপে সংস্কৃত শিক্ষার টোল চালু করেন। শ্রীচৈতন্যও প্রথম জীবনে সংস্কৃতের অধ্যাপক ছিলেন। অচ্যুতচরণ চৌধুরীর মতে, ‘ঢাকাদক্ষিণ ব্রাহ্মণ পন্ডিতের স্থান, পন্ডিতবর্গের টোল ঢাকাদক্ষিণের গৌরব বৃদ্ধি করিত’ (অচ্যুতচরণ চৌধুরী, উত্তরাংশ, ২০০২:৬১)।

গোলাপগঞ্জের সংস্কৃত সাহিত্যচর্চাকারী আরো কয়েকজন হচ্ছেন বানেশ্বর বিদ্যালঙ্কার, শ্রীচৈতন্যদেব, অধ্যাপক বাণী প্রসন্ন মিশ্র, রামচরণ ন্যায়লঙ্কার, কালিচরণ তর্কবাগীশ, ত্রিপুরানাথ তর্কপাধ্যায়, বাণীনাথ বিদ্যাসাগর প্রমুখ। সকলেই ঢাকাদক্ষিণ মিশ্রপাড়ার সন্তান।

বৈষ্ণব সাহিত্য

ভাষা হচ্ছে জাতীয়তার পরিচায়ক। প্রাচীনকালে বাংলাভাষা বৌদ্ধদের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করলেও পরবর্তীতে সে মর্যাদা বহাল থাকে নি। মধ্যযুগে এ ভাষাকে ধর্মপ্রচারের বাহন হিসেবে প্রথম ব্যবহার করেন গোলাপগঞ্জের সন্তান শ্রীচৈতন্য দেব। তিনি ১৪৮৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নবদ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন।

শ্রীচৈতন্যের সময় শাস্ত্রের বিধান ছিল, ‘অষ্টাদশ পুরাণ’ এবং ‘রামায়ণ’ দেশীয় ভাষায় শুনলে বা শোনালে রৌরব নরকে জ্বলতে হবে। সে যুগে শাস্ত্রের বিধানকে ধর্মপ্রচারকগণতো বটেই, কবিরাও এতোই ভয় পেতেন যে, দেব-দেবীর মাহাত্ম প্রচারের সূচনায় নানা কৈফিয়ত দিতে হতো। শুধু সনাতনপন্থীরাই নয়, একই সঙ্গে মুসলমান কবিরাও বাংলায় ইসলামের মাহাত্ম প্রচারের সময়, ধর্মীয় কাব্য রচনার সময়, কাব্যের শুরুতে ক্ষমা চেয়ে নিতেন। অর্থাৎ হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মের ধারক ও বাহকগণ যখন নিজনিজ ধর্মীয় ভাষার অচলায়তনে বন্দি, শ্রীচৈতন্য দেব তখন সংস্কৃত ভাষার পরিবর্তে বাংলাভাষায় ধর্মপ্রচার শুরু করেন। শুধু বাংলা ভাষাকে ধর্মপ্রচারের বাহন হিসেবেই নয়, শ্রীচৈতন্য দেব প্রবর্তিত বৈষ্ণবধর্ম প্রচারের ফলে বাঙালির জীবনে নবজাগরণও ঘটেছিল। তিনি একদিকে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা জাতিভেদ প্রথার দুর্ভেদ্য দুর্গে প্রচন্ড আঘাত হেনে হিন্দু-সমাজে প্রেম ও সাম্যের বাণী প্রচার করেন। অন্যদিকে তাঁর জীবন, কর্ম ও ধর্মপ্রচারে ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তার উপরে নাই’এই বৈপ্লবিক নীতির প্রচার ও সার্থক প্রয়োগ করেন।

একপর্যায়ে পুরোহিতগণ বাংলা প্রচলনে কাজির নিকট শ্রীচৈতন্য দেবের বিরুদ্ধে নালিশ করলে কাজি তাঁর শিষ্যদের ওপর অত্যাচার শুরু করেন। এতে শ্রীচৈতন্য দেব তাঁর অহিংসা নীতি ভুলে গিয়ে কাজির বাড়ি আক্রমণ করে বসেন এবং শান্তিপুরের ভাষা ভুলে গিয়ে সিলেটী ভাষায় গর্জন করে বলেন, ‘কাজি তোরে আইজ মারিয়া ফালাইমু’। তখন বাংলাভাষায় গ্রন্থ লিখে প্রাচীন ঢাকাদক্ষিণ তথা বর্তমান গোলাপগঞ্জের যেসকল কৃতিসন্তান দেশজোড়া খ্যাতি লাভ করেছেন তাঁরা হলেন জগজ্জীবন মিশ্র। তাঁর লেখা বিখ্যাত বাংলা গ্রন্থ ‘মনঃসন্তোষিণী’, ব্রজমোহন দত্তের ‘গৌরাঙ্গ সংগীত’ এবং যাদুনাথ কবিচন্দ্র লিখিত ‘পদাবলী’ উল্লেখযোগ্য।

আরবি, ফারসি ও উর্দু সাহিত্য

প্রায় পাঁচশ’ বছর বাংলা মুসলিম শাসনাধীনে থাকায় মুসলমানদের ধর্মীয় ভাষা হিসেবে আরবি, সরকারি ভাষা হিসেবে ফারসি এবং সম্রাট আকবরের সময় থেকে সেনাবাহিনীর মুখের ভাষা উর্দু প্রচলিত থাকায় গোলাপগঞ্জে সংস্কৃত ও বাংলার পাশাপাশি আরবি, ফারসি ও উর্দু ভাষায় সাহিত্য চর্চা শুরু হয়। উনিশ শতকে আরবি, ফারসি ও উর্দু সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য কবি সাহিত্যিকরা হচ্ছেন-

মাওলানা আজির উদ্দিন চৌধুরী: জন্ম ফুলবাড়ি গ্রামে। পিতা আইনজীবী মৌলভি জহিরুদ্দিন চৌধুরী। তিনি আরবি ও ফারসি ভাষায় পন্ডিত ছিলেন এবং ফারসি ভাষায় অনেকগুলো কিতাব লেখেন। আরবি ভাষায় তাঁর লেখা গ্রন্থের নাম হচ্ছে ‘রেজওয়ালুন নূর’ ও ‘আকায়িদে আজিরিয়া’ ইত্যাদি।

শাহ আবদুল কাহের: জন্ম ফুলবাড়ি গ্রামে। পিতা শাহ আবদুল কাদের। শাহ আবদুল কাহের আরবি এবং ফারসি ভাষায় পন্ডিত ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে ‘বাহারে সালেকিন’।

খলিলুর রহমান চৌধুরী: জন্ম ফুলবাড়ি গ্রামে। তিনি আরবি ও ফারসি ভাষায় পন্ডিত ছিলেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ হচ্ছে, ‘তাজকিরাতুল জলজলা’, ‘গুলদস্তানে আকায়িদ’, ‘আজাফতনামা’, ‘ইলমে নহ’, ‘ক্বসিদা-এ-নাতিয়া, তাযকিরাতুল সালাহ’।

মৌলবি মোবাশ্বির আলী: জন্ম ভাদেশ্বর। তাঁর উর্দু ভাষায় লিখিত গ্রন্থটি হচ্ছে ‘তাওয়ারিখে জালালি’।

শাহ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ: উর্দু ও ফারসি ভাষার লেখকও পন্ডিত। জন্ম ১৮২৭ সালে ভাদেশ্বর দক্ষিণভাগ গ্রামে। তিনি হুগলি মাদ্রাসা ও ফুলবাড়ি আজিরিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ভাদেশ্বর আলিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক ছিলেন। শেষ জীবনে করিমগঞ্জের বিশকুট নামক গ্রামে বসবাস করতে থাকায় তিনি বিশকুটি নামে পরিচিতি। তাঁর রচিত গ্রন্থ ‘ইস্তেখাবে সফর নামা’, ‘মেরাতুস সুলুক’। এছাড়াও তিনি অনেক ইসলামি গান রচনা করেন।

এধারার অন্যান্যরা হলেন হাবিবুর রহমান সুফি মিয়া, ফুলবাড়ি, আজমল আলী চৌধুরী, রণকেলী প্রমুখ।

সিলেটী নাগরি ভাষার পুঁথি-সাহিত্য

শ্রীচৈতন্য দেব যখন বাংলাভাষাকে ধর্মপ্রচারের বাহন হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন; সমকালেই স্থানীয়ভাবে ইসলাম ধর্ম প্রচারের বাহন হিসেবে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় হরফ সংযোজনের মাধ্যমে সেটাকে একটি পূর্ণাঙ্গ ভাষার রুপ দান করেন স্থানীয় নাম-না-জানা কয়েকজন মুসলমান মনীষী। তাঁদের দূরদর্শী চিন্তাধারা, উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় ‘দেব নাগরির’ আদলে সিলেটী নাগরি হরফে’র উদ্ভব, প্রচার এবং পুঁথি-পুস্তক রচনা শুরু হয়। অর্থাৎ একদিকে শ্রীচৈতন্য দেব এবং তাঁর পর্ষদগণ যেমন বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারের বাহন হিসেবে সংস্কৃতের পরিবর্তে বাংলাভাষাকে গ্রহণ ও প্রচার করে বাংলাভাষাকে বিশিষ্টতা দান করেন, ঠিক একইভাবে তাঁরই মাতৃ ও পিতৃভূমি খোদ সিলেটে আরবি, ফারসি ইত্যাদি বিদেশি ভাষার পরিবর্তে ভারতীয় দেব নাগরির আদলে সুফিবাদী ভাবধারায় স্থানীয় মানুষের মুখের ভাষায় ইসলামের মর্মবাণী প্রচারের জন্য সিলেটী নাগরি ভাষায় পুঁথি-পুস্তক রচনা শুরু করেন। সিলেটী নাগরি সাহিত্যে গোলাপগঞ্জবাসীর অবদান অনন্য। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন: ফুলবাড়ির শাহ্ আবদুল ওয়াহাব চৌধুরী।

শাহ আবদুল ওয়াহাব চৌধুরী: শাহ আবদুল ওয়াহাব চৌধুরী ১৭৬৩ সালে ফুলবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একই গ্রামের শাহ আবদুল কাদেরের শিষ্য। তিনি সিলেটী নাগরি ভাষার পাশাপাশি আরবি ও ফারসি ভাষায় সুপন্ডিত ছিলেন এবং ফারসি ভাষায় বয়েত এবং আরবি ভাষায় ইলমে তসউফের গ্রন্থ রচনা করেন। এছাড়া ধর্মশিক্ষা ও ধর্মের বিধান প্রচারার্থে সিলেটী নাগরি ভাষায় অনেক পুঁথিও রচনা করেন। নাগরি ভাষায় রচিত তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে : ‘হাসর তরান’, ‘ভব তরান’, ‘উম্মি তরান’ এবং সুফিশাস্ত্র হিসেবে ‘ভেদকায়া’। শ্রীচৈতন্য দেবের পর্ষদ ও শিষ্যদের মাধ্যমে যেমন বাংলাভাষা সাহিত্য ও ধর্মীয় ভাষার মর্যাদা লাভ করেছিল, তেমনি আবদুল ওয়াহাব চৌধুরী ও তাঁর শিষ্যগণের দ্বারাও সিলেটী নাগরি সাহিত্যের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার লাভ করে। শিষ্যদের মধ্যে একই গ্রামের মৌলবি আজির উদ্দিন চৌধুরী উল্লেখযোগ্য।

শেখ কারি আবদুল ওয়াহিদ: তিনি বরায়া দক্ষিণভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বলেই ধারণা করা হয়। তার ৪১টি মরমি গান সংবলিত ‘ওকুলিয়া প্রেমের মিটাই’ শীর্ষক সিলেটী নাগরি ভাষায় গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।

উসমান আলী: ১২৯০-১৩৬০ সালের মধ্যে তাঁর জন্ম হয়েছে বলে অনুমান করা হয়। বাড়ি সুনামপুর গ্রামে। ১৩৪২ বাংলা সনে তাঁর ‘হকিকতে মারিফত’ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।

মুনশী জফর আলী: জন্ম ১৩০০ বাংলায় বাদেপাশা গ্রামে। তাঁর রচিত পুঁথির নাম ‘অসিওতুন্নবি’। 

মরমি সাহিত্য ও সংস্কৃতি: মারেফতি বা ফকিরালী গানের পোশাকি নাম মরমি সাহিত্য। এই সাহিত্য গোলাপগঞ্জের যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁরা হচ্ছেন-

সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম: গীতিকবি। জন্ম ১৯১৯ সালে কদমরসুল গ্রামে। তিনি বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় কবিতা ও গান লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত গ্রন্থ, ‘কান শোনে ও চোখ দেখে’, ‘ইয়ারস টু হিয়ার অ্যান্ড আইজ টু সি’। এছাড়াও আরও অনেকেই আছেন যাদের তথ্য স্বল্প সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

একে আনাম: গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী। জন্ম ১৯৪০ সালে। পৈতৃক নিবাস বারকোট গ্রামে। একে আনাম রেডিও বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের একজন অনুমোদিত গীতিকার ছিলেন। সিলেটের অনেকগুলো জনপ্রিয় আঞ্চলিক গানের রচয়িতা তিনি। ২০০৩ সালে তাঁর গীতিকবিতাগ্রন্থ ‘সুরমা নদীর তীরে’ প্রকাশিত হয়। 

শামসুল হুদা চৌধুরী (মায়া): গীতিকবি। জন্ম ১৯৪৪ সালে ফাজিলপুর গ্রামে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ ‘মনঃপীড়া’। 

সেলিম আহমদ: জন্ম ১৯৬৫ সালে গোলাপগঞ্জ থানার ঘাঘুয়া গ্রামে। ১৯৯৪ সালে তাঁর ৫০টি গান নিয়ে ‘সেলিম সঙ্গীত’ প্রকাশিত হয়। 

এছাড়াও আছেন আরও অনেকে।

আধুনিক বাংলা সাহিত্য:

১৮০০ সাল থেকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সূচনাকাল। উনিশ শতকের শেষ দশক থেকে বিশ শতকের প্রথম চার দশক মূলতঃ রবীন্দ্র সাহিত্যের যুগ। এ সময় সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অনেক শক্তিশালী লেখকের আর্বিভাব হলেও পথ প্রদর্শক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর সেই আলোর দীপ্তিতে গোলাপগঞ্জ যেমন আলোকিত হয়েছিল ঠিক একইভাবে খোদ রবীন্দ্রলোকে আলোকিত হয়ে বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছেন গোলাপগঞ্জের কৃতিসন্তান অশোক বিজয় রাহা। একইভাবে কাব্যে এবং কথাসাহিত্যে গোলাপগঞ্জ এলাকাকে আলোকিত করেছেন যাঁরা তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন-

খানবাহাদুর শরাফত আলী চৌধুরী: জন্ম ১৮৬০ সালে শিলঘাট গ্রামে। তার পুলিশ-জীবনের রোমাঞ্চকর কাহিনী নিয়ে রচিত গ্রন্থ ‘আমার গত জীবন’। 

আর্জুমন্দ আলী: মরমি কবি ও কথাশিল্পী। জন্ম ১৮৭০ সালে ভাদেশ্বর পূর্বভাগ গ্রামে। বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি এবং ফারসি ভাষায় দক্ষ ছিলেন। প্রবেশিকা পর্যন্ত লেখাপড়া করে স্কুল পরিদর্শক হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করেন। একই সঙ্গে চলতে থাকে সাহিত্যচর্চা। কিন্তু মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন বিধায় তাঁর সাহিত্যকর্ম খুব বেশি অগ্রসর হয়নি। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থÑ ‘প্রেম দর্পণ’; ‘হৃদয়সঙ্গীত’ ইত্যাদি।

শশিমোহন চক্রবর্তী: শিক্ষাবিদ ও লেখক। তিনি ১৮৯০ সালে নিজ ঢাকাদক্ষিণ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রকাশিত গ্রন্থÑ ‘শ্রীহট্টিয়া প্রবাদ প্রবচন’। তিনি ইংরেজি ভাষায় ‘দ্য কল’ এবং ‘ইউনেস্কো ডে’ শীর্ষক আরো দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। সম্পাদনা: ‘দ্য মুরারিচাঁদ কলেজ গোল্ডেন জুবিলি ভল্যিউম ১ ও ২’ ইত্যাদি। 

আবদুল মালিক চৌধুরী:  আবদুল মালিক চৌধুরী ১৮৯১ সালে ভাদেশ্বরের পূর্বভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সরকারি চাকরির পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও চালিয়ে যান। প্রকাশিত গ্রন্থ, ‘স্বপ্নের ঘোর’, গ্রন্থটির দিত্বীয় সংস্করণ ‘পরদেশী’ নামে প্রকাশিত হয়। ঐতিহাসিক জীবনীগ্রন্থ ‘হযরত শাহজালাল (র.) এবং ‘কলকাতা মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব’। অপ্রকাশিত গ্রন্থ ‘উম্মাহাতুল মুমিনিন’ ও ‘ভাদেশ্বরের কাহিনী’। এ বই দুটি প্রকাশিত হলে আরও অজানা তথ্য জানা যেত।

মাওলানা সাখাওয়াতুল আম্বিয়া: শিক্ষাবিদ, লেখক ও রাজনীতিবিদ। জন্ম ১৮৯৪ সালে রফিপুর গ্রামে। একজন খ্যাতিমান খেলাফতকর্মী। পরবর্তীকালে পাকিস্তান আন্দোলন ও সিলেট রেফারেন্ডামে একনিষ্ঠভাবে কাজ করেন। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে এমপিএ নির্বাচিত হন।  প্রকাশিত গ্রন্থ ‘তারজিম’, ‘নেজামে ইসলাম’, ‘জেহাদ’, ‘কেন পাকিস্তান চাই’ ইত্যাদি।

অশোক বিজয় রাহা: কবি ও শিক্ষাবিদ। জন্ম ১৯১০ সালে। পৈতৃক নিবাস দত্তরাইল গ্রামে। অশোক বিজয় রাহা দর্শনশাস্ত্রে অনার্স এবং বাংলায় এমএ পাস করে প্রথমে মদনমোহন কলেজ পরে করিমগঞ্জ কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৫১ সালে যোগ দেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং একটানা ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনা করেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ¯স্নেহধন্য অশোক বিজয় রাহার প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে কবিতা : ‘ডিহাং নদীর বাঁকে’, ‘জলডম্বরু পাহাড়’ ‘রক্তসন্ধ্যা’, ‘রুদ্র বসন্ত’ ‘শেষ চূড়া’, ‘উড়ো চিঠির ঝাঁক’, ‘ভানুমতির মাঠ’, ‘যেথা এই চৈত্রের শালবন’, ‘ঘন্টা বাজে : পর্দা সরে যায়’, ‘পৌষ ফসল’, ‘অশোক বিজয় রাহার শ্রেষ্ঠ কবিতা’। গদ্যগ্রন্থ : ‘বাণীশিল্পী অবনীন্দ্রনাথ’ এবং ‘পত্রাষ্টক’। তাঁর লেখা কবিতা বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

মাওলানা আবদুল মতিন চৌধুরী: আলেম, শিক্ষাবিদ ও সুবক্তা। জন্ম ১৯১৫ সালে ফুলবাড়ি গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ : ‘সত্যের মাপকাঠি’।

মুস্তান ছিরুর রহমান চৌধুরী: জন্ম ১৯১৮ সালে ফুলবাড়ি গ্রামে। লিখিত গ্রন্থ ‘ফুলবাড়ি ইতিহাসখ্যাত একটি গ্রাম’, ‘এ হ্যান্ড বুক অন দ্য ক্রিমিন্যাল ল’জ, ‘কন্সটেবল আইন সংকলন ও ব্যবহারিক শিক্ষা’ এবং ‘আঞ্চলিক ইতিহাস : ফুলবাড়ি আজিরিয়া মাদ্রাসা’ ইত্যাদি।

তাসাদ্দুক আহমদ: যুক্তরাজ্য প্রবাসী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও কলামিস্ট। জন্ম ১৯২৩ সালে ভাদেশ্বর পূর্বভাগ গ্রামে। আইয়ূব সরকারের রোসানল থেকে বাঁচতে বিলেতে পাড়ি জমান। তিনি বিলাতে প্রথম বাংলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতাই নন, বাংলা পত্রিকায় প্রথম টাইপরাইটার এবং পরবর্তীকালে কম্পিউটার টাইপসেটিংয়েরও প্রবর্তক। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘জীবন খাতার কুড়ানো পাতা’।

অধ্যাপক ড. সদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী: অধ্যাপক ড. সদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরীর জন্ম ১লা জানুয়ারি ১৯৩১ সালে ফুলবাড়ি গ্রামে। পদার্থ বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ এবং প্রথম ভিসি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

ফারুক আহমদ চৌধুরী (সিএসপি): লেখক ও কূটনীতিবিদ। জন্ম ১৯৩৪ সালে। পৈতৃক নিবাস বারকোট। প্রকাশিত গ্রন্থ, ‘দেশ দেশান্তর’, ‘প্রিয় ফারজানা’, ‘নানাক্ষণ নানাকথা’, ‘স্বদেশ স্বকাল স্বজন’, ‘সময়ের আবর্তে’, ‘স্মরণে মুজিব’ ইত্যাদি।

আহমদ-উজ-জামান: কথাশিল্পী, অনুবাদক ও নাট্যকার। জন্ম ১৯৩৬ সালে ভাদেশ্বর পূর্বভাগ গ্রামে। রেডিও বাংলাদেশে দীর্ঘদিন চাকরি করে রংপুর কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক থেকে অবসর গ্রহণ করেন। রেডিও বাংলাদেশ থেকে প্রচারিত তার নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নিঃসঙ্গ এই যাত্রায়’, ‘তরঙ্গ উদ্বেল’, ‘এই দিন প্রতিদিন’, ‘মাস্টার মশাই’, ‘তিন ঘন্টা বিরতি’, ‘অরণ্যের নেশা’, ‘ফিরে এসো’, ‘কখনো নয়’। টিভিতে প্রচারিত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘তরঙ্গ উদ্বেল’, ‘এই নিঘাদে’, ‘নীরবে প্রদীপ জ্বলে’, ‘তিন ঘন্টা বিরতি’, প্রকাশিত গ্রন্থ : ‘বহে না কুড়া নদী’ ইত্যাদি।

ইনাম আহমদ চৌধুরী (সিএসপি): সাবেক সচিব, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান, কলামিস্ট ও প্রাবন্ধিক। জন্ম ১৯৩৭ সালে। পৈতৃক নিবাস বারকোট গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘ছোটদের জিয়াউর রহমান’, ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’, ‘চিরঞ্জীব জিয়া’, ‘ভাবনার বাংলাদেশ’ ‘নতুন ছবি’ ইত্যাদি।

মৌলানা আব্দুর রউফ বিন সুলাইমান: ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক। জন্ম ১৯৩৮ সালে বহরগ্রামে। ১৯৭৯ সালে স্বপরিবারে দুবাই চলে যান এবং উম্মুল কুয়াইন এর আল রায়ফা জামে মসজিদে ইমাম ও খতিব নিযুক্ত হন। তিনি সেখানে স্থায়ীভাবে থেকে যান এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে সেখানেই সমাহিত করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁর পরিবার সেখানেই রয়েছে। তিনি ইসলামী বিষয়ে বহুগ্রন্থের লেখক।

সালেহ উদ্দিন আহমদ জহুরি: লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট। জন্ম ১৯৩৮ সালে কদমরসুল গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ধূসরজালে মৌলবাদ’, ‘অপসংস্কৃতির বিভীষিকা’, ‘জহুরি জাম্বিল’, ‘প্রেস্টিজ কনসার্নড’, ‘ক্রীতদাসের মতো যাদের জীবন’, ‘তুচ্ছ ঘটনার ভয়াবহ ফল’, ‘সর্বহারাদের স্বর্গরাজ্যে’, ‘জাত নিয়ে ভ্রান্তি বিলাস’, ‘খবরের খবর’ ইত্যাদি।

রুহুল আজাদ চৌধুরী: নাট্যকার, নাট্যাভিনেতা ও ব্যাংকার। জন্ম ১৯৪১ সালে আমুড়া গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘মধ্যরাতের বৃষ্টি’ এবং ‘স্বপ্নলোকের চাবি’ ইত্যাদি।

আতাউর রহমান খান: যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও রাজনীতিবিদ। জন্ম ১৯৪২ সালে চন্দনবাগ গ্রামে। তাঁর রাজনৈতিক এবং পারিবারিক জীবনের কাহিনী নিয়ে সুধাময় করের অনুলিখনে প্রকাশিত গ্রন্থ- ‘আমার জীবন ও রাজনীতি’।

আতাউর রহমান: রম্য লেখক ও কথাসাহিত্যিক। জন্ম ১৯৪২ সালে নগর গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্সসহ এমএ পাস করে এমসি কলেজে অধ্যাপনার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু। পরে ডাক বিভাগে যোগদান করে সে বিভাগের মহাপরিচালকের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরমধ্যে ১৯৮২-৮৬ সালে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব, ১৯৯০-৯২ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিচালক এবং ১৯৯৩-৯৫ সালে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে লেবার কাউন্সিলর ছিলেন। আতাউর রহমানের প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ১৬। তম্মধ্যে উপন্যাস ২টি, আত্মজীবনী ১টি ও রম্য গ্রন্থ ১৩টি। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে ‘ছোটদের জন্য চুটকি’, ‘পরদাদার ভ্রমণকাহিনী’, ‘যৎকিঞ্চিৎ’, ‘নঞ তৎপুরুষ’, ‘চিত্র বিচিত্র’ এবং ‘অল্প অল্প বিস্তর মধুর’। উপন্যাস : ‘স্বর্ণমৃগের সন্ধানে’, ‘মধ্যরাতের জোকস্’, ‘প্রেম ভালোবাসা বিয়ের জোকস্’ এবং ‘বিশ্ববরেণ্যদের উপাখ্যান’ ‘সেরারম্য’, ‘আতাউর রহমান রচনাসমগ্র’ ইত্যাদি।

ডক্টর জমশেদ সানিয়াত আহমদ চৌধুরী: গবেষক। জন্ম ১৯৪৭ সালে ফুলবাড়ি গ্রামে। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘বাংলাদেশ: ফেইলিওর অব এ পার্লামেন্টারি গভর্নমেন্ট’ ইত্যাদি।

মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান: কবি, প্রাবন্ধিক, কথাশিল্পী ও ব্যাংকার। জন্ম ১৯৪৫ সালে দত্তরাইল গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ- লিমেরিক, ‘কাতুকুতু’, ‘ভালোবাসার লিমেরিক’, ‘অন্তরে অন্তরা’, ‘বিহিতা আবার ফিরে আসবে না’ এবং ‘মাছের মায়ের মুখে সোনার চামচ’ ইত্যাদি। 

রওশন আফতাব: অধ্যাপক, নাট্যকার ও কথাশিল্পী। জন্ম ১৯৪৬ সালে ভাদেশ্বর গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘সাগরমুখি পাজরের পতন’ এবং ‘নিহত নক্ষত্রের কবিতা’, ‘প্রেমের ফাঁদ’ ইত্যাদি।

মাহমুদ হক: তাঁর আসল নাম সৈয়দ মাহমুদুল হক। সাংবাকিদ, লেখক, গীতিকার ও ছড়াকার। জন্ম- ১৯৪৮ খ্রিঃ, পৈতৃক নিবাস কদম রসুল গ্রামে। দেশবার্তা এবং রেডিও বাংলাদেশ সিলেট কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘ছু মন্তর ছু’, ‘মিষ্টি ছড়া’, ‘সচিবালয়ে জনৈকের পদোন্নতি’ এবং ‘কৃষ্ণচূড়ার সংলাপ’ ইত্যাদি।

সালেহ আহমদ: কবি ও কথাশিল্পী। জন্ম ১৯৫২ সালে রাণাপিং গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘ঝরো পাতা ঝরো’, ‘পাখিবাস’, ‘নদী হয় সাঁকো হয়’, ‘রাণাপিং থেকে সমুদ্র’, ‘মতিঝিল কলোনি’ ইত্যাদি। 

নাসরিন আবেদীন: কবি ও গল্পকার। জন্ম ১৯৫২ সালে ভাদেশ্বর গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘একটি রাত’, ‘পদ্মপাতার জল’ ও ‘ক্যাটার ক্যাকটাসে’, ‘লাল শাড়ি’ ইত্যাদি।

শেখ আখতারুল ইসলাম: লেখক ও আইনজীবী। জন্ম ১৯৫৩ সালে ভাদেশ্বরের শেখপাড়ায়। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘কালের ধ্বনি’, ‘বয়ে চলে কুড়া নদী’, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সিপাহশালার বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী’।

নুরুন্নেসা চৌধুরী রুনি: কবি। জন্ম ১৯৫৪ সালে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘¯রষ্টার পানে’, ‘পাঁজরভাঙ্গার শব্দ’, ‘ফিরে দেখি একবার ৭১’, ‘কুয়েত ভ্রমণ ও মক্কায় ওমরা পালন’ এবং ‘হৃদয়জুড়ে বাংলাদেশ’ ইত্যাদি।

সালমা বক্ত চৌধুরী: কবি ও কথাশিল্পী। জন্ম ১৯৫৪ সালে রণকেলী গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘ঝরাপাতার কষ্ট’, ‘নীল বেদনায় সুখের ছোয়া’, ‘হৃদয় সৈকতে পূর্ণিমা’ ইত্যাদি।

বেলাল আহমদ চৌধুরী: লেখক, কলামিস্ট ও গীতিকার। অবসরপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা। জন্ম ১৯৫৫ সালে ফুলবাড়ি গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘জীবন নদীর বাঁকে’, ‘দেশ আমার ভাবনা আমার’, ‘মানুষ রতœ যতœ চিনলে না’, ‘হৃদয়ে আমার মক্কা মদিনা’, ‘শুভ্ররেখা’, ‘অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের স্মৃতিময় দিনগুলি’।

ডক্টর মোহাম্মদ আবদুর রব: জন্ম ১৯৫৫ সালে বরায়া দক্ষিণভাগ গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘কয়েকটি সাম্প্রতিক সমস্যা’, ‘একুশের টিভি দুর্নীতি মামলা’, ‘একটি প্রামাণ্য দলিল’ ইত্যাদি। 

ডক্টর রেনু লুৎফা: প্রবাসী কবি ও কলামিস্ট। জন্ম ১৯৫৫ সালে রাণাপিং ছত্তিশ গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘ইতরের মতো সত্য’, ‘হে ঈশ্বর তোমার যবনিকা’, ‘যেতে দিতে পারি না’, ‘জীবন বলাকা’, ‘কালের কণ্ঠ-১’ ‘কালের কণ্ঠ-২’ ‘স্পর্ধিত আত্মবোধ’ ইত্যাদি।

রুহুল আমীন: কবি। জন্ম ১৯৫৭ সালে ভাদেশ্বর গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘ এ নীল নির্বাসন’, ‘দিগন্ত আজ বৃষ্টি ভরা’ ‘ভালোবাসার অ্যালবাম’ এবং ‘দুই বাংলার সংগ্রামী কবিতা’ ইত্যাদি।

নাজনীন খলিল: কবি। জন্ম ১৯৫৭ সালে। পৈতৃক নিবাস নগর গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘পাথরের সাঁকো’, ‘একাত্তর দেখবো বলে’, ‘বিষাদের প্রখর বেলুনগুলো’ ইত্যাদি।

ডক্টর আবদুল আজিজ তকি: কবি, গল্পকার ও নাট্যকার। ১৯৫৭ সালে রানাপিং ছত্তিশ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই সাহিত্যচর্চার সঙ্গে জড়িত। জার্মান প্রবাসী তকি ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় ‘রিভলিউশন’ নামে একটি মাসিক পত্রিকা সম্পদনা ও প্রকাশ করেন। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘উল্টো বুঝলিরে রাম’, ‘আমিও কি মানুষ’, ‘রাণীর মেহমান’ ‘শেষ দৃশ্য’; ‘সৈনিকের মৃত্যু’ ইত্যাদি।

শাহজাহান সিরাজ: যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহজাহান সিরাজের জন্ম ১৯৫৮ সালে বাগলা গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘ব্রিটিশ রাজনীতির ইতিকথা’, ‘আমেরিকায় ইসলাম’ ও ‘মুসলমান হাজার বছরের চালচিত্র’ ইত্যাদি।

ডাক্তার আবদুল হাই মিনার: কথাশিল্পী ও চিকিৎসক। জন্ম ১৯৬০ সালে বরায়া দক্ষিণভাগ গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘নীল দরজার রহস্য’, ‘জমশেদ মুস্তাফির হাড়’, ‘সব পাখি নীড়ে ফেরে না’, ‘কুটি কবিরাজের বিচিত্র কান্ড’ এবং রূকারী দ্বীপের রহস্য ইত্যাদি।

আমান উদ্দিন: যুক্তরাজ্য প্রবাসী লেখক, প্রাবন্ধিক। জন্ম ১৯৬৩ সালে দত্তরাইল গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘দিলওয়ার : কাব্যকর্ম ও মানবদর্শন’; ‘বিশ্বমনীষীর দৃষ্টিতে হযরত মোহাম্মদ (দ.)’ এবং ‘হাছন রাজার উচ্চানুভূতি, প্রেম ও বৈরাগ্য ভাবনা’ ইত্যাদি।

ফারুক আহমদ: লেখক, গীতিকার, নাট্যকার, গবেষক ও প্রবাসী কোটায় বাংলা একাডেমি পুরুষ্কার প্রাপ্ত। জন্ম ১৯৬৪ সালে চৌঘরী, গোয়াসপুর গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘বিলাতে বাংলা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা’ ‘বিলাতে বাংলার রাজনীতি, ‘গোলাপগঞ্জে ইসলাম’ ‘গোলাপগঞ্জের ইতিহাস’, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি’ ইত্যাদি।

রুহুল আমীন রুহেল: গীতিকবি ও উপন্যাসিক। জন্ম ১৯৬৫ সালে দত্তরাইল গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘রুহেল সংগীত (১ম ও ২য় খন্ড)’, ‘এই তো জীবন’; ‘জীবনের সাত রং (১ম ও ২য় খন্ড); ‘কেন এমন হয়’ ইত্যাদি।

আলতাফ উদ্দিন: লেখক ও বৈমানিক। জন্ম রণকেলী গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ : ‘দিস সাব কন্টিন্যান্ট’, ‘এয়ার লাইন্স’, ‘রণিকাইল’, ‘জীবনের ধারা’ ইত্যাদি।

রফিক আহমদ চৌধুরী: জন্ম রণকেলী গ্রামে। পিতা আবদুল হামিদ চৌধুরী (সোনা মিয়া), রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী এবং এমপিএ ছিলেন প্রকাশিত গ্রন্থ ‘একটি আদর্শ বিপ্লবী জীবন’ ইত্যাদি।

লাবণ্যকুমার চক্রবর্তী: জন্ম ঢাকাদক্ষিণ চক্রবর্তী পাড়ায়। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘মহারাণী ইন্দুপ্রভা’, ‘শ্রীশঙ্করচার্য’, ‘হযরত ইবরাহিম’, ‘জয়দেব’ ‘পঞ্চপ্রদীপ’ ‘শান্তিকুসুম’ এবং ‘পুণ্যস্মৃতি’ ইত্যাদি।

মো. আব্দুল মালিক: শিক্ষক, লেখক, কলামিস্ট, গবেষক, সমাজকর্মী ও এডভোকেট। জন্ম ১৯৬৬ সালে বহরগ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘কবিতার চারুপাঠ’, ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’, ‘নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রসঙ্গ’, ‘স্বাধীনতার বাঁকে বাঁকে বঙ্গবন্ধুর অবদান’, ‘ব্রিটিশ বিরোধী স্বদেশী ও পাকিস্তান আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু’, ‘মুজিববর্ষে দেশী-বিদেশী কবিদের কালজয়ী শতকবিতায় বঙ্গবন্ধু’, ‘আপন আলোয় বঙ্গবন্ধু’ ইত্যাদি।

আবুল হাছনাত: জন্ম ১৯৬৭ সালে, ভাদেশ্বর দক্ষিণভাগ গ্রামে, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, অনুসন্ধানী ও ইসলামী গ্রন্থের লেখক। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা অনেক। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে গোলাপগঞ্জের ইতিহাস ঐতিহ্য সংক্রান্ত সৌরভ (১- ৯) সংখ্যা  ‘ভাদেশ্বরের ইতিহাস ঐতিহ্য’, হযরত শাহ পুতলা ও শাহ ফাত্তাহ (র), ৩৬০ আউলিয়ার মাজার পরিচিতি ইত্যাদি। 

মো. ফয়ছল আলম: সাংবাদিক ও সাহিত্যিক, জন্ম ১৯৭৪ সালে কানিশাইল গ্রামে। তাঁর প্রকাশিত বই স্মৃতিপটে গিয়াস উদ্দিন, বিলেতের প্রতিবেদন, বাউল বয়ান, যুদ্ধদিনের আত্মস্মৃতি, মুক্তি সংগ্রামী এক বীরের গল্প,সুন্দিসাইল গণহত্যা ৭১।

দেলওয়ার হোসেন দিলু: আইনজীবী, ছড়াকার ও সাংবাদিক। জন্ম ১৯৬৭ সালে কায়স্থ গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘আমাদের পোলাপান’ ইত্যাদি।

আবু তাহের: ছড়াকার ও নাট্যকার। জন্ম ১৯৬৮ সালে চন্দরপুর গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ- ‘মার শালাদের মার’, ‘তদবির’, ‘রাজরোগ, রাজভোগ’, ‘তেলেসমাতি হুজুর’, ‘জ্বীন-ই-মুমিন’, ও ‘পদই বাবু’ ইত্যাদি।

এনামুল কবীর: জন্ম ১৯৭৩ সালে উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামে। সাংবাদিকতা পেশা হলেও তার লেখালেখি শুরু ছড়া কবিতা দিয়ে। প্রকাশিত বই ‘বানরাজার বাড়ির যুদ্ধ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’। এছাড়াও তারা লেখা নাটক ‘ময়না’ ২০০৬ সালে মুক্তি পায় এবং বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলে প্রচারিত হয়। তার লেখা আরও দুটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে, ‘যুদ্ধে যুদ্ধে স্বাধীনতা’ (১৯৯৫) ও ‘সোনাবান বিবির ঘরগিরস্তিৎ (১৯৯৯, শিশুতোষ)।

আহমদ হোসেন বাবলু: রেডিও বাংলাদেশ, ঢাকা ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুমোদিত গীতিকার। জন্ম ১৯৬৮ সালে রণকেলি নোয়াপাড়া গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘সূচনা’ ইত্যাদি।

কামরুন নাহার চৌধুরী শেফালী: কবি, গীতিকার ও নাট্যকার। জন্ম ১৯৭২ সালে পশ্চিম বারকোট গ্রামে। তাঁর প্রকাশিত গ্রস্থ সংখ্যা ১২।

আনোয়ার শাহজাহান: যুক্তরাজ্য প্রবাসী, লেখক ও সাংবাদিক। জন্ম  ১৯৭৩ সালে রায়গড় গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ : ‘ক’ জন কৃতি সন্তান’, ‘বিলাতের দিনগুলি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’, ‘গোলাপগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য’, ‘মধ্যাহ্নের কোলাহল’, ‘সময়ের শ্রেষ্ঠ ছড়া’ ইত্যাদি।

দেলোয়ার মোহাম্মদ: জন্ম চন্দরপুর গ্রামে ১৯৭৭ সালে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘নষ্টামিতে কাব্য’, ‘ভালোবাসার আচ্ছাদন’, ‘দুই পাজরের পতন’, ‘নিহত নক্ষত্রের কবিতা, ‘প্রেমের ফাঁদ’ ইত্যাদি।

মোহাম্মদ ফারুক আহমদ: জন্ম ১৯৭৮ সালে মদনগৌরী গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘মিলেনিয়াম ট্যুরিস্ট’, ‘ইসকতস’, ‘রক্তাক্ত আফগান এবং ‘দাদীর ঝুলি থেকে বলছি’ ইত্যাদি।

ফয়সাল আইয়ুব: যুক্তরাজ্য প্রবাসী, কবি ও সাংবাদিক। জন্ম ১৯৭৯ সালে বহরগ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘হিয়ার হিন্দোল’ ইত্যাদি। 

জিয়া উদ্দিন: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ও কবি। জন্ম বাগিরঘাট গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ  ‘চলে গেলে নিসর্গ ফেলে’, ‘বারণ’ ইত্যাদি।

রাবিনা খান: উপন্যাসিক, প্রযোজক, রাজনীতিবিদ এবং সোশ্যাল ওয়ার্কার। বৈবাহিকসূত্রে ঢাকাদক্ষিণ দত্তরাইলের বাসিন্দা। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘রেইন বো হ্যান্ডস’ ‘এ আয়শা’স রেইন বো’ ইত্যাদি।

সৈয়দ নাদির আহমদ: যুক্তরাজ্য প্রবাসী, লেখক ও সাংবাদিক। জন্ম ১৯৭৫ সালে ভাদেশ্বর দক্ষিণভাগ গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘গোলাপগঞ্জের ব্যক্তিত্ব’ ‘ইতিহাসে খ্যাত ভাদেশ্বর সৈয়দবাড়ি’ ইত্যাদি।

শামসুল ইসলাম শামীম: কবি ও সাংবাদিক। জন্ম ভাদেশ^র পূর্বভাগ। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘¯রাতে অর্নিবার’, ‘অন্তর’, ‘শৈল্পিক’ ইত্যাদি।

আরও যারা সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন তাঁদের মধ্যে- অধ্যাপক ডক্টর হাসানুজ্জামান চৌধুরী, ভাদেশ্বর পূর্বভাগ, ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া, সুন্দিশাইল, মেজর জেনারেল হাসান মসহুদ চৌধুরী, কানিশাইল, কর্ণেল এম.এ সালাম (বীরপ্রতীক), বরায়া উত্তরভাগ, আজিজ আহমদ সেলিম, রণকেলি, দুলাল আহমদ চৌধুরী, মাইজভাগ, কবি মহি উদ্দিন চৌধুরী, ফুলবাড়ি, আব্দুল মালিক (বীরপ্রতীক), নগর, আব্দুল মুহিত, হাজীপুর ঘনশ্যাম, তাহের আহমদ চৌধুরী, ভাদেশ্বর পূর্বভাগ, এলিজা বেগম স্বপ্না আমকুনা, যুক্তরাজ্য প্রবাসী চৌধুরী বখতিয়ার এহিয়া রেহেল, রণকেলী, সাজলু লস্কর, সুন্দিশাইল (সম্পাদক ও প্রকাশক সিলেট প্রতিদিন২৪ডটকম) আব্দুর রউফ, খাটকাই, অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ, বাদেপাশা, সাংবাদিক জাকারিয়া তালুকদার, লক্ষণাবন্দ, মেজর অব. জামাল উদ্দিন, ভাদেশ্বর, কবির আহমদ বাবর, মছকাপুর, খাইরুল ইসলাম সোয়েব, কৈলাশ, মাওলানা রশিদ আহমদ অ্যাডভোকেট, ফুলবাড়ি হাজীপুর, ডা. ফারুক আহমদ, কালিজুরী, বায়েজিদ মাহমুদ ফয়সল, নালিউরি, বাইস কাদির, কানিশাইল, কেএম আব্দুল্লাহ, বনগ্রাম, সাংবাদিক আব্দুল আহাদ, চৌঘরী, সাংবাদিক মাহফুজ আহমদ চৌধুরী, ঘুঘারকুল, ইসমত হানিফা চৌধুরী, শেরপুর, সোমা জায়গীরদার, ফুলবাড়ি, আবু জাফর চৌধুরী, সুন্দিসাইল, মো. ছয়েফ উদ্দিন, সুনামপুর, রিয়াজ আহমদ, ভাদেশ্বর পূর্বভাগ, শামছুদ্দোহা ফজল সিদ্দিকী, বারকোট, গোলাম দস্তগীর খান ছামিন, দত্তরাইল, শিব্বির আহমদ, বহরগ্রাম, ছয়ফুল আলম পারুল, খাটকাই,  কবি শাহিনা  আক্তার কলি ( মরহুম) লামাচন্দরপুর, আব্দুল লতিফ নতুন, মছকাপুর, সালমান কাদের দিপু, চন্দরপুর, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কালিকৃষ্ণপুর, সাংবাদিক খন্দকার বদরুল আলম, রানাপিং, জয়নাল আবেদীন, স্বরস্বতী, রশিদ আহমদ, বারকোট, জাহেদ জারিফ, রানাপিং, গোয়াসপুর, গোলাম সা’দত জুয়েল, ঘোষগাঁও, জুবের আহমদ সার্জন, সুন্দিসাইল, মাছুম হোসেন, বাণীগাজী, আবুল কাশেম রোমন, লক্ষ্মণাবন্দ, নুমান মাহফুজ, নিশ্চিন্ত, ইমরান আহমদ, বারকোট, সৈয়দ রিপন, রণকেলি, আলিম উদ্দিন বাবলু, আমকোনা, তুহিন চৌধুরী, সুন্দিসাইল, মো. মজনুজ্জামান, খাগাইল, একেএম নজরুল মাসুদ, ছিটা ফুলবাড়ি, হোসনেআরা হেনা, আমনিয়া, আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, হিলালপুর,  আমিনুল হক জিলু, বহরগ্রাম, ফরিদ আহমদ সরস্বতী, গোলাম রসুল খান সালিম, দত্তরাইল, হায়দার গাজী, ভাদেশ্বর দক্ষিণভাগ প্রমুখ।

লেখক : শিক্ষক, জালালাবাদ ক্যান্টনম্যান্ট বোর্ড হাই স্কুল

প্রবন্ধটি ২৭/০৭/২০২৩ তারিখ গোলাপগঞ্জ সাহিত্য মেলায় পঠিত।





সিলেট প্রতিদিন / ইকে


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি