শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন

সিলেটে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন ফারমিস

  • প্রকাশের সময় : ২১/০৮/২০২১ ০৮:৩৪:৫০
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের
Share
12

বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর। সিলেটের অলিতে গলিতে রাস্তায় ঝাড়ু হাতে, আবার কখনো রাস্তার পাশে ড্রেন ও নর্দমার ময়লা আর্বজনার পাশে বেলচা হাতে। ঝাঁড়ু কিংবা নর্দমার বেলচা দুটোই ব্যবহার করেন নিজ হাতে। রাস্তাঘাট অপরিস্কার দেখলেই নিজ হাতে কাজে নেমে পড়া আবার নালা-নর্দমা অপরিচ্ছন্ন থাকলে বেলচা হাতেই কাজে নেমে পড়া। আবার দিনে বা রাতে রাস্তায় কিংবা নগরীর বস্তিতে নিজেই গাড়ি চালিয়ে খাবার নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন। তিনি হলেন ফারমিস আক্তার।


ছোট বেলা থেকে যার মনে মানুষের জন্য ছিল অফুরন্ত ভালোবাসা। স্কুলে যেতে বাবা-মায়ের কাছ থেকে যে টাকা নিতেন সেই টাকা থেকে পথে অসহায় মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। সেই ফারমিস আজও মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিজেই ছুটে যাচ্ছেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। তাই তো হয়েছেন সাধারণ্যের একদম নাগালের মধ্যে। ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়েছেন একেবারে কম বয়সেই। সিলেট নগরীর মিরের ময়দানের বাসিন্দা ফারমিস আক্তার। করোনাকালে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছেন।


ছিন্নমূল মানুষকে রাতের আধারে প্যাকেটে করে রান্না করা খাবার দিয়ে আসতেন। কখনো আবার রাস্তার পাশের পাগলীটাকে গায়ে কাপড় না থাকলেও পড়িয়ে দেন। শুধু তাই নয়। অসহায় পরিবারের মেয়েদের বিয়ে থেকে যাবতীয় খরচ বহন করেন তিনি। সেই সাথে প্রবাসী ছেলে-মেয়েদের বাবা-মায়ের জন্য তিনি বাজার করে তাদের ঘরে পৌঁছে দিতেন। সেই সব বাজারের টাকা দিতেন প্রবাসীরা।     


ঈদে নগরীর চারটি বস্তিতে নারী-পুরুষের পাশাপাশি শিশুদের হাতে তুলে দেন ঈদের নতুন পোশাক। করোনার এই সময়ে মৃত ব্যক্তিদের দাফন কাফনের জন্য সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে লাশ গোসল করানোর জন্য মশারি ও ১৫টি মসজিদে খাটিয়া। এমন অনেক কার্যক্রমের মাধ্যমে সিলেটে মানবতার ফেরিওয়ালা নামে পরিচিতি পেয়েছেন ফারমিস।   

এব্যাপারে ফারমিস আক্রার বলেন, ছোট বেলা থেকে মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছে ছিল। আমার জমানো টাকা দিয়ে মানুষকে সাহায্য করছি। করোনাকালে মানুষের কষ্ট দেখে নিজেকে আটকে রাখতে পারিনি। তাই যখন যেভাবে পেরেছি সেভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। 


তিনি বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা উচিত। আমি আমার স্বাধ্যমতো চেষ্টা করছি অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর। সমাজের অসহায় মানুষের কল্যাণে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সমাজের বিত্তশালী মানুষগুলোকেও এ কাজে পাশে পেতে চাই।


সিলেট প্রতিদিন / এমএ


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি