নর্থ ইষ্ট নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. গুল বদন স্বপদে পুনর্বহাল হয়েছেন। কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রেক্ষিতে ও বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ভুল বুঝে ক্ষমা প্রার্থনা করার কর্তৃপক্ষ তাকে পুনর্বহাল করেন।
প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. গুল বদন অনুভুতি ব্যক্ত করে বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের বুঝতে পারায় তিনি আনন্দিত। ভবিষ্যতে আর যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানান। বিগত দু’মাস নর্থ ইষ্ট নার্সিং কলেজের কার্যক্রম কষ্ট করে পরিচালনা জন্য সহকর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই এই নার্সিং কলেজ আন্তর্জাতিক মানে উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে নর্থইষ্ট মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, গত ৫ আগস্টের পর কতিপয় শিক্ষার্থীদের দাবী প্রেক্ষিতে ডা. গুল বদন-কে প্রিন্সিপাল পদ থেকে সাময়িক অব্যহতি প্রদান করা হয় এবং শিক্ষার্থীর দাবী যৌক্তিক কিনা তা যাচাইয়ের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি তদন্ত করে শিক্ষার্থীদের দাবীর পক্ষে কোন প্রমাণ পায়নি।
তদন্ত প্রতিবেদন আসার পর কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে বসে তাদের প্রতিবেদন শোনানোর পর তারা ভুল বুঝতে পারেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন এবং প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. গুল বদনকে স্বপদে ফিরে আনার জন্য তার বাসায় গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. গুল বদন কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগযোগ করলে, কর্তৃপক্ষ তাকে স্বপদে ফিরে আসার আহবান জানান।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. গুল বদনের বাসা গিয়ে তাকে সাথে নিয়ে নর্থ ইষ্ট নার্সিং কলেজে আসেন।
উল্লেখ্য, প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. গুল বদনের অনুপস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। বিশেষ করে যারা এমএসসি, পোস্ট বেসিক, বিএসসি এবং পোস্ট বেসিক মিডওয়াইফেরি কোর্সের শিক্ষার্থী যারা মূলত প্রফেসর ড. গুল বদন উদ্বুদ্ধ করে কোর্সে ভর্তি হয়েছে। ড. গুল বদনের অবর্তমানে কোর্স কারিকুলাম সুচারুভাবে পরিচালনা করার মত যোগ্য কেউ না থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ও ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই অবস্থায় সাধারণ শিক্ষার্থীগণ প্রিন্সিপালকে স্বপদে ফিরে আনার জন্য আন্দোলন শুরু করে।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রফেসর ড. গুল বদনের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিগত ১৬ বছরে নর্থ ইস্ট নার্সিং কলেজ দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে এবং বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য নার্সিং কলেজে পরিণত হয়েছে। তাঁর অক্লান্ত চেষ্টায় নর্থ ইস্ট নার্সিং কলেজ আজ এক্রিডেশন পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে, যার ফলে কলেজের বর্তমান সকল ছাত্র-ছাত্রীদের অর্জিত নার্সিং সনদ বিশ্বের সকল দেশে স্বীকৃতি পাবে। কিন্তু বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনষ্ট করার অসৎ লক্ষ্যে, কলেজের এক্রিডেশনসহ সকল উন্নয়ন থামিয়ে দেয়ার জন্য কতিপয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজশে অর্থের বিনিময়ে বহিরাগত লোকজন আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে এবং কিছু শিক্ষার্থীদের ভুল বোঝায়। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দাবির এ আন্দোলনকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান এবং প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে পরিচালিত করে বহিরাগতরা। দুষ্কৃতিকারীরা কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ড. গুল বদনের পদত্যাগ চায়। এই বহিরাগত দুষ্কৃতিকারীরা কলেজে ভাংচুরে প্ররোচনা দেয় এবং শিক্ষকদের নামে মাইকিং করে ও অনলাইন প্লাটফর্মে কুরুচিপূর্ণ কথা বলে যা লজ্জাজনক। বক্তারা বলেন, বহিরাগতদের চক্রান্তের ফলে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমূহ ক্ষতি হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি