ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের মামলায় গ্রেফতার পরোয়ানা জারি হয়েছে হবিগঞ্জের এক আওয়ামী লীগ নেতার নামে। গ্রেফতার এড়াতে গা-ঢাকা দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে ফেরারি আসামি তিনি।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা হলেন - হোসাইন মো. আদিল জজ মিয়া। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। ছাত্রলীগ নেতার মামলা ছাড়াও ব্রাহ্মণডুরা ইউপি চেয়ারম্যান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংশ্লিষ্ট আরও দুটি হত্যা মামলায় ফেরারি আসামি জজ মিয়া।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন ওই আওয়ামী লীগ নেতার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে বুধবার (২৩ অক্টোবর) হবিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছিলেন।
জজ মিয়াসহ ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে এ বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন আফরোজ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন। দু-দিন পর আদালতের শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ মামলাটি এফআইআরভুক্ত করে।
মামলায় আফরোজের অভিযোগ, আসামিরা গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত দেড়টায় জজ মিয়ার নির্দেশে তাকে মারধর করে একটি হাত ভেঙে দেন। এ সময় তার কাছ থেকে ২৯ হাজার টাকা দামের ৩টি মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলা দায়েরের পর জজ মিয়া জামিন পেয়েছিলেন। পরে বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জামিন বাতিল করে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এদিকে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ইউপি চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আদিল জজ মিয়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত। ফলে স্থানীয় লোকজন প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজে পরিষদে গিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।