সিলেট সিটি করপোরেশনের অপসারিত মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সহ ২৫০ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নগরীর ঘাসিটুলা এলাকার মো. আবুয়েল কালামের ছেলে মো. বোরহান উদ্দিন বাদি হয়ে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মধ্যরাতে কোতোয়ালি থানায় এ মামলাটি (নং ২৫(১০)২০২৪) দায়ের করেন।
মামলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৫০ নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০/২০০জনকে আসামি করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ১৯০৮ সনের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩/৪ তৎসহ ১৪৮/১৪৯/৩২৬/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১০৯/১১৪ ধারায় মামলাটি রুজু হয়েছে।
মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলম খান মুক্তি (৪৫), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি পিযুষ কান্দি দে (৪০), সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন জাকির (২৫), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ওরফে পাথর শামীম (৫০), নগরীর ২নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা ইমন প্রকাশ ডেল ডেলা ইমন (৩০), সুনামগঞ্জ, যুবলীগ নেতা লাহেদ ওরফে বন্দুক সাহেদ (৩২), যুবলীগ নেতা আফজল, সুনামগঞ্জ যুবলীগ নেতা অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, যুবলীগ নেতা রুমন আহমদ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মুসতাক আহমদ, সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা আব্দুল জব্বার (৪২), সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা রওশন হাবিন (৪০), গোলজার আহমদ রামদা গুলজার (৩৩), মো. আব্দুল্লাহ ওরফে রাইফেল খালেদ (৪৫), আলিম উদ্দিন (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৩২), মুজিবুর আল রহমান (৩২),তাজ উদ্দিন (৩০), মিজান (৩২), পাপলু (৩৮), সৈয়দ সেলিম (৩৫), যুয়াদ মিয়া তালুকদার (৫০), আরিয়ান আহমদ রবিন (২৭), শাহ খালেদ (৩৫), আওয়ামী লীগ নেতা রুহেল খন্দকার, মোহাম্মদ আলী, রাহেদ মিয়া (৩২), শাওন, শহিদ, ফারুক, আকছার মিয়া, রমজান আলী (৩০), জয়নুল আবেদীন জেনেল, আমিনুর রহমান তামিম, ছামাদ মিয়া, জাবেদ মিয়া, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ইলিয়াস আলী (৩৫), আবু বক্কর (৪০), মনোজিৎ ভূষন দত্ত (৪৫), জুনেল আহমেদ ওরফে বন্দুক জুনেল (৩৫), রুবেল আহমদ ওরফে ডেগার রুবেল (৩৬), আল আজাদ, মুকিত (৩৩), রাসেল ওরফে ভইস রাসেল (৩২), জামালগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান আহমেদ ইমন শুটার ইমরান (২৮) ও মো. সাইফুল ইসলাম (৩৫)।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ৪ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে নগরীর বন্দরবাজার কুদরত উল্লাহ মসজিদের সামনে এবং হাসান মার্কেটের সম্মুখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিছিল বের করে। এ মিছিলে তার ভাই মিজানও (১৮) অংশ নেন। এ সময় ১নং আসামি মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে বন্দুক, কাটা রাইফেল, ককটেল, রামদা, লাঠি ও লোহার রডসহ অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আসামিরা মিছিলে হামলা চালায়। আসামির ছোড়া গুলি তার ভাই মিজানের চোখে লাগে।তখন আসামিরা তাকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে মারধর করে। পরে এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি ছোড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসামিরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর জখম অবস্থায় মিজানকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। গুলিতে তার ভাই মিজানের ডান চোখ অন্ধ হয়ে গেছে।