সিলেট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট থানার সাহেবের বাজারে গানবাজনা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গানবাজনা পণ্ড হয়ে যায়।
গানবাজনা না হওয়ার পক্ষে বিএনপি নেতা ইমাম উদ্দিন, কছির উদ্দিন, মাওলানা মুতওয়াক্কিল বিল্লাল জালাল, মাওলানা রিয়াজুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল মুমিন, কয়েছ আহমদ, হেলাল উদ্দিন, খলিলুর রহমান, নাজিম আহমদ, রানা আহমেদ, গুলজার হোসেন নাজিম, আব্দুর রউফ, সাইফ আহমদসহ প্রায় ২ শত লোকজন নিয়ে সাহেবের বাজারে শক্ত অবস্থান নেয়।
অপরদিকে গানবাজনার পক্ষে কসাই বিলাল, সাবিদ আলী, ফখরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মঞ্জুর হোসেন, নাছির উদ্দীন, মুড়ারগুল গ্রামের নিজানসহ ৫০ থেকে ৬০ জন লোক বাজারের পশ্চিম পাশে অবস্থান নেয়।
জানা যায়, কুনিপাড়া গ্রামের অস্থায়ী বাসিন্দা শিল্পী দেওয়ানের বাড়ীতে আজ গানবাজনার আয়োজন করা হয়। বিষয়টি বৃহত্তর সাহেবের বাজার যুবসমাজ ও এলাকাবাসীর গানবাজনা মেনে নিতে পারেনি। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাযানি হলে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।
গানবাজনা বন্ধের দাবিতে রাত ৮ টার দিকে স্থানীয় সাহেবের বাজারে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে সাহেবের বাজার যুবসমাজ ও এলাকাবাসীর প্রায় ২ শত লোক। পরে গানবাজনার পক্ষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাহেবের বাজারে ৫০ থেকে ৬০ জন লোক নিয়ে একটি পাল্টা মিছিল বের করে। এ সময় সাহেবের বাজারে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়, এক পর্যায়ে দু'পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার, সহকারী কমিশনার ভূমি মাহবুবুল ইসলামকে ঘটনার বিষয় অবগত করলে টনক নড়ে প্রশাসনের।
খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গানবাজনা বন্ধের নির্দেশ দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, সাহেবের বাজারে গানবাজনা নিয়ে দু'পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমরা গানবাজনা না করার জন্য শিল্পী দেওয়ানকে নির্দেশ দিয়েছি। এটি মেট্রোপলিটন এলাকা এখানে কোনো অনুষ্ঠান করলে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে করতে হয়। বর্তমানে এ এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে তিনি জানান।