প্রায় চার বছর পর আয়করমুক্ত সুবিধা ফিরে পেয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক। একই সুবিধা ২০২৯ পর্যন্ত পেলো আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
১৯৮৩ সালে সামরিক অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সব সময়ই কর অব্যাহতি সুবিধা পেয়ে আসছিল গ্রামীণ ব্যাংক। সুযোগটি প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশের ৩৩ ধারার আওতায়। ২০১৩ সালে অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করা হলেও ওই ধারা অব্যাহত রয়েছে।
২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই সুবিধা বন্ধ করে দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। গত বৃহস্পতিবার গ্রামীণ ব্যাংককে কর অব্যাহতি সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এটি ২০২৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতি বছর দিতে হবে আয়কর রিটার্ন। প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
গেজেট আকারে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২৩ সালের আয়কর আইনের ৭৬-এর উপধারা (৫) এবং (৬)-এর বিধানাবলি পরিপালন সাপেক্ষে গ্রামীণ ব্যাংকের অর্জিত সব আয়কে আয়কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে।
অন্যদিকে, ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত দানকৃত আয় থেকে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে অলাভজনক ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আলাদা গেজেট প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সেখানে বলা হয়েছে, কর দিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলসহ যাবতীয় নিয়ম পরিপালন করে তবেই এ সুবিধা পাওয়া যাবে।
প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।
অন্যদিকে, সাম্প্রতিক বন্যার সময় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ তৎপরতা বেশ আলোচিত হয়। এটির প্রতিষ্ঠাতা ইসলামি ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ। ২০১৭ সালে সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। আহমাদুল্লাহ সংস্থাটির চেয়ারম্যান। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশভিত্তিক একটি অলাভজনক ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা, যারা শিক্ষা ও মানবকল্যাণসহ বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।