শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) নতুন প্রশাসন নিয়োগের ২১দিন পার হলেও হালনাগাদ করা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়টির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের ‘এপিএ সিটিজেন চার্টার’ ক্যাটাগরির তথ্য।
ওয়েবসাইট হালনাগাদে উদাসীনতার কারণে তথ্য পেতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সেবাগ্রহীতারা। ফলে জরুরি মূহুর্তে সেবা নিতে অনেকে পড়ছেন বিড়ম্বনায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটামে পদত্যাগ করেন শাবির সাবেক উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন প্রসাশনিক ব্যক্তিত্ব। এরপর গত ১৮ সেপ্টেম্বর শাবির নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক ড.এ.এম.সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো.সাজেদুল করিম এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.মো.ইসমাইল হোসেন ও পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেওয়া হয় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে।
এদিকে, নতুন প্রশাসন নিয়োগের ২১দিন অতিবাহিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের ‘এপিএ সিটিজেন চার্টার’ ক্যাটাগরি ঘুরে দেখা যায় এখন বহাল রয়েছে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদসহ সাবেক উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের নাম।
এছাড়া রেজিস্ট্রার, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, প্রক্টর, ডিন, প্রভোস্টদের নামও হালনাগাদ করা হয়নি। ফলে জরুরী মূহুর্তে সঠিক তথ্য পেতে ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে সেবাগ্রহীতাদের।
তাহজীব হাসান তালুকদার নামে এক সেবাগ্রহীতা বলেন, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় জরুরী তথ্য প্রাপ্তির জন্য শাবির ওয়েবসাইটের দেওয়া দায়িত্ব অনুযায়ী একজন উপ-রেজিস্ট্রার নাম্বারে ফোন দিই। তবে কলটি অন্য আরেকজন রিসিভ করে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জানান তিনি বর্তমানে এই দায়িত্বে নেই। প্রতিদিনই এ রকম কল দিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ওয়েবসাইটের হালনাগাদের বিষয়ে এপিএ’ শাবির ফোকাল পয়েন্ট আ ফ ম মিফতাউল হক বলেন, সাধারণত তিনমাস পরপর ‘এপিএ সিটিজেন চার্টার’ হালনাগাদ করা হয়। তবে জরুরী মূহুর্তে আমরা চেষ্টা করবো পূজার ছুটি শেষে অফিস খুললে ওয়েবসাইট হালনাগাদ করার। বর্তমানে সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছুটিতে থাকাই বন্ধের আগে সেটি করা সম্ভব না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট তদারকির দায়িত্বে থাকা কম্পিউটার ও তথ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা এস এম খাইরুল আখতার চৌধুরী বলেন, বর্তমানে আমি কেন্দ্রের দায়িত্বে নেই, তবে আমার সহকর্মীদের বলে দিবো এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার।
এই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা অন্য কয়েকজন কর্মকর্তাকে কল দিলে কেউ বলেন এবিষয়ে তিনি জানেন না আবার কারোর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।