মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম : সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মোট ১০ জন প্রার্থী দলীয় ফরম জমা দিয়েছেন। বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন প্রবাসী, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবি নেতা। তাঁদের মধ্যে দুই-চারজন ছাড়া অনেককেই সাধারণ মানুষ বা ভোটাররা একেবারেই চিনেন না। তবুও তারা নৌকা প্রতিকে প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য হতে চান। করতে চান মানুষের সেবা!
জানা যায়, গত ১৮ নভেম্বর (শনিবার) থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকাল ৪টা পর্যন্ত সিলেট-৩ আসনে মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দেন মোট ১০ জন।
তাঁদের মধ্যে রয়েছেন- বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বিএমএ’র কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, ব্যবসায়ী নেতা হুমায়ূন আহমদ, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সেক্রেটারি আবদুর রকিব মন্টু, প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার মনির হোসাইন, ড. মিসবাউর রহমান, মো. মতিউর রহমান ও জেলা যুবলীগের সহসভাপতি শামীম ইকবাল।
তাঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদেরকে সাধারণ ভোটার তো দুরের কথা সামাজিক বা নেতৃস্থানীয়রাও চিনেন না। তাদেরকে কোনদিন এই এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে দেখা যায়নি। তবুও তারা আওয়ামী লীগের নৌকায় চড়ে সংসদ সদস্য হতে চান।
এবিষয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক সিলেট প্রতিদিনকে বলেন- শুধু আওয়ামী লীগ নয় সকল দলের প্রতি অনুরোধ যিনি এমপি হলে বা না হয়েও সমাজের মানুষের পাশে থাকবেন, তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হোক। সমাজসেবা করতে হলে শুধু যে এমপি হতে হবে তেমন কোন কথা নয়, সমাজসেবার মানষিকতা থাকলে এমপি না হয়েও সমাজের সেবা করা যায়। তিনি দলীয় নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ জানান- যাদের মধ্যে দেশপ্রেম আছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে তাদেরকেই মনোনয়ন দেয়া হোক।
প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকেই আছেন নির্বাচন এলে পরিচিতি পাবার জন্য আসেন, পরে তারা চলেও যান।
আগামী বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব মনোনয়ন বোর্ডের সভায় ৩০০ সংসদীয় আসনে নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। দুইদিন পর ঘোষণা আসতে পারে দলীয় চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকার। সেইদিন জানা যাবে কে হচ্ছেন এই আসনের নৌকার মাঝি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।