কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উত্তর সিলেটের প্রবীণ মুরব্বি, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব আব্দুল বাছির চেয়ারম্যান আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। দীর্ঘদিন থেকে তিনি বাধ্যর্কজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
রোববার (১৯ নভেম্বর) রাত ১০টা ৩০মিনিটে সিলেট নগরীর সোবহানীঘাটস্থ আল-হারামাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তিনি স্ত্রী, ৭ ছেলে ও ৫ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন। সোমবার দুপুর ২টা ৩০মিনিটে নিজ হাতে গড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাড়ুয়া আনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জানাজায় হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ অংশ গ্রহণ করেন। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আব্দুল বাছির ১৯৩২ সালে তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাড়ুয়া মাঝপাড়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন, তাঁর পিতার নাম শুকুর উল্লাহ। তিনি দীর্ঘ ৮ বছর ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিন তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন। একজন সালিস ব্যক্তিত্ব হিসাবে উত্তর সিলেটে তাঁর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। রাস্তাঘাট ও গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণে রয়েছে ব্যাপক অবদান। উপজেলা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নেও রয়েছে তাঁর বিশেষ অবদান। কোম্পানীগঞ্জ এম সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের দাতা সদস্য তিনি। এছাড়া ইমরান আহমদ কারিগরি কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি, পাড়ুয়া আনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠায় ভুমিকা ও দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন, পাড়ুয়া ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা নির্মাণ, পাড়ুয়া শাহী ঈদগাহ নির্মাণ, পাড়ুয়া নোয়াগাঁও ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা এমপিভুক্ত ও তৎকালীন স্পীকারের সহযোগিতায় ভবন নির্মাণ, জামিউল উলুম নুরীয়া পাড়ুয়া বটেরতল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় ভুমিকা, পাড়ুয়া শাখা ডাকঘর, ইউনিয়ন ভুমি অফিস, পাড়ুয়া ভোলাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণে ভূমিকা।
এদিকে চেয়ারম্যান আব্দুল বাছির এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে, উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো। এক শোকবার্তায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সহানুভূতি ও সমবেদনা জানিয়েছেন।