
মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের পেটালেন মদন মোহনের অধ্যাপক জয়ন্ত দাস

প্রতিদিন প্রতিবেদক
প্রকাশ ২০২৩-১১-০৬ ০৮:৩৬:২৭

সরকারি মদন মোহন কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও তারাপুর ক্যাম্পাসের ইনচার্জ জয়ন্ত দাসের বিরুদ্ধে সালাম বা আদাব না বলায় শিক্ষার্থীদের কাঁঠাল গাছের ডাল দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সরকারি মদন মোহন কলেজের তারাপুর ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজে ২০২০-২১ সেশনের মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের কাজ চলছিল। সোমবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসে। হঠাৎ করেই ক্যাম্পাসের গেইটে রাখা কাঁঠাল গাছের ডাল এনে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পেটাতে থাকেন। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার রশিদ পূরণ করছিলেন। এসময় শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে আরও কয়েকজন ছাত্রীকেও আঘাত করেন তিনি।
পেটানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি সবাইকে 'বেয়াদব বেয়াদব, সালাম আদাব পরিবার শেখায় নি? আমারে চিনো না নি? এইসব বলতে থাকেন। এসময় এক ছাত্রী চিনতে পারেনি বললে তিনি লাথি দিবেন বলে গালাগাল করেন। এমন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
এসময় তারা প্রতিবাদ করতে চাইলে অন্যান্য শিক্ষকরা থামিয়ে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানান, আমি রুমে ডুকে অন্যান্য স্যারদেরকে সালাম দিয়ে কথা বলি। এসময় তিনি অনেকটা দূরে ছিলেন। দূরে গিয়ে তাকে সালাম বা আদাব বলা হয় নি। কিছুক্ষণ পরেই দেখি তিনি শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয়েছেন।
অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, কলেজের গেইটে আসামাত্র তিনি ‘আমারে চিন নি’ বলেন। উত্তরের না বললে তিনি কাঁঠাল গাছের ডাল দিয়ে আমরা দুইজনকে আঘাত করেন। তৎক্ষনাৎ বিষয়টা বুঝতে পারি নি। পরে জানতে পারি তিনি ক্যাম্পাসের ইনচার্জ ও দেখা হওয়ার পর তাঁকে সালাম বা আদাব না বলায় তিনি ডাল দিয়ে আঘাত করেন। এ ঘটনায় ১০/১২ জন মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
সচেতন শিক্ষার্থীরা বলছেন, সিলেট জেলা তথা বিভাগের বাইরেও সরকারি মদন মোহনের কলেজের অনেক সুনাম রয়েছে। এখানে সিলেটের বাইরের অনেক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এমন অপ্রীতিকর ঘটনায় কলেজের মান সম্মানকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।
জানতে চাইলে সরকারি মদন মোহন কলেজের অধ্যাপক ও তারাপুর ক্যাম্পাসের ইনচার্জ জয়ন্ত দাস বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের বকাঝকা করি, তবে এ বিষয়টি সত্য নয়।
এব্যাপারে সরকারি মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপিকা সর্ব্বাণী অর্জুণ বলেন, আমি একটি অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ছিলাম। এ বিষয়ে জানা নেই। যদি এরকম হয় তবে বিষয়টি দু:খজনক। আমি আগামীকাল (মঙ্গলবার) কলেজে গিয়ে খোঁজ নিব।
সিলেট প্রতিদিন/ ইকে

বিজ্ঞাপন স্থান
পুরাতন সংবাদ খুঁজেন
বিজ্ঞাপন স্থান
ফেসবুক মন্তব্য