আশিক আলী, বিশ্বনাথ: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের মাত্র এক বছরের অনুমোদ দেয়া আংশিক কমিটি দিয়ে দীর্ঘ ৬টি বছর পার করা হয়েছে। কমিটিরি সভাপতি’সহ অনেকেই হয়েছেন প্রবাসী। সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ হয়ে নিস্ক্রিয়। এছাড়াও অছাত্র, মৃত্যুবরন আর কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকাংশই রয়েছেন নিস্ক্রিয়। আবার অনেকেই বিয়ে করে হয়েছেন সংসারি ও অনেকেই হয়েছেন প্রবাসী। দীর্ঘ এই ৬বছরে ছাত্রলীগের বৃহত একটি অংশ সৃষ্টি হলেও কমিটি না থাকায় তারা অনেকটা অভিভাবকহীন হয়ে হতাশায় রয়েছেন। ফলে সাংগঠনিক কার্যক্রমও অনেকটা জিমিয়ে পড়েছে। বলতে গেলে ছাত্রলীগের এই কমিটির পদ অনেকটা শুন্য।
এছাড়ও নবগঠিত পৌরসভা ছাত্রলীগের কমিটিও হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের কমিটিও বিলুপ্ত রয়েছে।
জানাযায়, বিগত ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই এক বছরের মেয়াদ দিয়ে বশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক একটি কমিটি অনুমোদন করেন তৎকালিন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী। আংশিক এই কমিটিতে সদস্য ছাড়া শীতল বৈদ্যকে সভাপতি ও মোবারক হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে সাংগঠনিক পর্যন্ত ৩০ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। আর এই কমিটির এক বছর মেয়াদ শেষ হয়েছে ৩১ জুলাই ২০১৮ সালে। মেয়াদ শেষ হলেও ২০২০ সালে কমিটির সভাপতি শীতল বৈদ্য পাড়ি জমান প্রবাসে। ফলে ২০২০সালের ২৮ নভেম্বর মেয়াদোত্তীর্ণ এই কমিটির ৪নং সহ সভাপতি পার্থ সারথী দাশ পাপ্পুকে ভাপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে ২০২২ সালের ২৭ জুলাই মেয়াদোত্তীর্ণ এই কমিটিতে পার্থ সারর্থী দাশ পাপ্পুকে পূণরায় সভাপতি করে দায়িত্ব দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখ ভট্রাচার্য।
এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে নব গঠিত পৌরসভা ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগেরও কোন কমিটি নেই। ফলে উপজেলায় ছাত্রলীগ থাকলেও ছাত্রলীগের কার্যক্রম অনেকটা শুন্যের কোটায় রয়েছে। তাই রাজপথের অনেক ছাত্রলীগের দাবি হচ্ছে শিগগিরই জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগ, পৌরসভা ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি দিতে হবে। আর না হলে ছাত্রলীগের কার্যক্রম গতিশীল করা সম্বব হবেনা বলে দাবি করেন।
উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকায় ছাত্রলীগের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। শিগগিরই ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা না হলে বিশ্বনাথে জয়বাংলা স্লোগান দেয়ার মতো ছাত্রলীগ পাওয়া যাবেনা।
জানতে চাইলে পার্থ সারথী দাশ পাপ্পু বলেন, সকল কর্মসূচিতে তিনি সক্রিয়ভাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবং কমিটি সাধারণ সম্পাদকও সক্রিয় রয়েছেন। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য কাজ চলছে বলে জানান।
কমিটি গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, চলতি মাসের ভেতরেই পৌরসভা ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি দিয়ে দেবেন। আর জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করে দেয়ার চেষ্ঠা করবেন বলে জানান।