
ভূমিকম্প: বিয়ানীবাজারে অনিরাপদ ভবন নিয়ে ঝুঁকিতে মানুষ

মহসিন রনি, বিয়ানীবাজার
প্রকাশ ২০২৩-০৯-১৮ ০১:৪৩:২৪

সম্প্রতি ঘনঘন ভূমিকম্পের ঘটনায় রেড জোনে আছে সিলেট।সেই তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ একটি উপজেলা বিয়ানীবাজার।পুরনো ভবনে ফাটল ধরাসহ অপরিকল্পিতভাবে মাটি ভরাট করে ভবন নির্মাণের ফলে বড় ধরনের ভুমিকম্প মোকাবেলা করতে বড়ক্ষতির সম্মুখীন হবে প্রবাসী অধ্যুষিত এই উপজেলাটি এমনটাই ধারণা করছেন সচেতন মহলের নাগরিকরা।
পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে মালিকানাধীন জায়গা পুকুর ভরাট করে ভবন নির্মাণের ফলে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ঝুঁকিতে রয়েছে এ সকল ভবন গুলো।
এ ছাড়া ও পৌর শহরের বেশ কিছু বানিজ্যিক ভবন পুরনো হওয়ার ফলে ফাটল দেখা দিয়েছে যেগুলো সামান্য মাত্রার ভূমিকম্প মোকাবেলা করতে হিমশিম খাবে।
সরেজমিনে বিয়ানীবাজার পৌর শহরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবন ঘুরে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কার্যক্রম চলছে। যার মধ্যে বিয়ানীবাজার জরাজীর্ণ ডাকঘরের পুরাতন ভবনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফাটল দেখা যায় যেখানে ঝুঁকি নিয়ে কর্ম দিবস সম্পন্ন করছেন কর্মকর্তারা।
এছাড়াও বিগত কয়েক বছরে পৌর শহরে বেশ কয়েকটি অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ হয়েছে যেগুলো ভুমিকম্পের সময় বড় ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার সময় আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিয়ানীবাজারে বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শনাক্ত করে তালা ঝুলিয়ে দেই। পৌরসভার পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের খবর পেলে কিংবা কেউ অভিযোগ করলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো, সেই সাথে বিগত কয়েকবছর আগে বিয়ানীবাজার ডাকঘরের কার্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয় তবে তা পূনরায় আবার চালু হয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ না পেলে ডাকঘরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।
বিয়ানীবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিয়ানীবাজারে পরিকল্পিত ভাবে নতুন নতুন ভবন নির্মাণের ফলে ঝুঁকি বাড়ার সাথে সাথে পুরনো ভবন গুলোতে ফাটল দেখা দিয়েছে যা সাধারণ মাত্রার ভুমিকম্প মোকাবেলা করতে হিমশিম খাবে। বিষয়টি নিয়ে যদি দায়িত্ব কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেন তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
সিলেট প্রতিদিন/ এমএ

বিজ্ঞাপন স্থান
পুরাতন সংবাদ খুঁজেন
বিজ্ঞাপন স্থান
ফেসবুক মন্তব্য