
সিলেটে জীবিত সালামকে মৃত ঘোষণা করলো ইসি!

সিলেট সদর উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ ২০২৩-০৯-০৩ ০৭:৪০:০২

মতিউর রহমান :: আব্দুস সালাম।পেশায় একজন শিক্ষক। জীবিত থেকে শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করলেও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সার্ভারে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।ফলে নিতে পাচ্ছেন না জাতীয় পরিচয় দিয়ে নাগরিক সেবা।ঘটনাটি ঘটেছে সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নে।
বিষয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আব্দুস সালাম খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেবের বাজার এলাকার রামপুর গ্রামের মৃত আনা মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, আব্দুস সালাম জীবিত থাকলেও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে মৃত এমন তথ্যে বিপাকে পড়েছেন তিনি। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৬৮৭৬২৪১৬৪৪।তিনি খাদিমনগর ইউনিয়নের হাজী আব্দুছ ছামাদ মেমোরিয়াল একাডেমীর সহকারী শিক্ষক।
নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে মৃত দেখানোর ফলে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কোন নাগরিক সেবা নিতে পারছেন না।আব্দুস সালাম খাদিমনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের ভোটার তালিকার ১ নম্বর ভোটার ছিলেন।
গত ১৬ মার্চ খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন ঘটনাটি তার নজরে আসে। তিনি তার গ্রামের ভোটার তালিকায় নিজের নাম খুঁজে না পেয়ে ভোট দিতে পারেননি।পরে তিনি জানতে পারেন নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে তাকে মৃত দেখানো হয়েছে।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম বলেন, জীবিত মানুষ হয়েও এখন নির্বাচন কমিশন আমাকে মৃত করে রেখেছে। নির্বাচন অফিসে গিয়েছিলাম, তারা জানিয়েছে আমার মৃত্যু হওয়ার কারণে আমাকে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে মৃত দেখানো হয়েছে। আমি জীবিত মানুষকে মৃত ঘোষণা করায় আমি চরম ভাবে মানসিক বিড়ম্বনায় পড়েছি। কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারণে আজ আমার এই পরিনতি। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানাই, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
তিনি দ্রুত এই বিষয়টরি সমাধানের জন্য দাবি জানান।
এ বিষয়ে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সংগ্রহকারীরা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য দিয়েছে। এ কারণে হয়তো তিনি জীবিত থাকলেও মৃত দেখিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। সমস্যাটি যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, তথ্য সংগ্রহকারীরা দায়িত্বশীল হলে ভুল তথ্য এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। ভুল তথ্য সংগ্রকারীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সিলেট প্রতিদিন/ এমএ

বিজ্ঞাপন স্থান
পুরাতন সংবাদ খুঁজেন
বিজ্ঞাপন স্থান
ফেসবুক মন্তব্য