
বিশ্বনাথে শিক্ষা বোর্ডের আদেশ নিয়েও মাদরাসায় ঢুকতে পারেননি অধ্যক্ষ

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি
প্রকাশ ২০২৩-০৯-০৩ ০৬:১০:৩৫

সিলেটের বিশ্বনাথে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দেয়া ছুটির স্থগিতাদেশ নিয়েও মাদরাসায় ঢুকতে পারেননি অধ্যক্ষ। তিনি উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের তেলিকোনা এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন।
রোববার সকালে তিনি হাইকোর্টের দেয়া তার ছুটির স্থগিতাদেশ নিয়ে মাদরাসায় যান। কিন্তু ওই মাদরাসার অ্যাডহক কমিটির সাবেক আহবায়ক নিজামুল ইসলাম, কয়েকজন শিক্ষক ও কয়েকজন উগ্রবাদিরা তাকে মাদরাসায় ঢুকতে দেননি। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত মুরব্বিয়ানদের সমন্বয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন তার ছুটির স্থগিতাদেশ দেখিয়ে বলেন, বিধিবহির্ভূত ভাবে প্রায় ৫ মাস পূর্বে জোর করে অ্যাডহক কমিটির সাবেক আহবায়ক নিজামুল ইসলাম তাকে ৪ মাসের ছুটি দেন। তিনি এই প্রতিবন্ধকতার নিরসন চেয়ে শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেন। এর পর তিনি হাইকোর্টেও আবেদন করেছেন।
তার এই আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট আবেদনটি নিস্পত্তির আদেশও দেন। আবেদনটি নিস্পত্তির লক্ষ্যে অ্যাডহক কমিটির সাবেক সভাপতিকে প্রদান করা হলে তিনি জবাবও দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষের আবেদন এবং সাবেক সভাপতির জবাব পর্যালোচনা করে দেখা যায় বিধিবহির্ভূত ভাবে অধ্যক্ষকে বাধ্যতামূলক ছটিতে পাঠানো হয়েছে।
ইতোমধ্যে তার ছুটির ৪ মাস অতিক্রমও হয়েছে। তাই তিনি মাদরাসার অধ্যক্ষ্যের দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়ে দেয়া হলো এবং হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক অধ্যক্ষ কর্তৃক আবেদন নিস্পত্তি করা হয় বলে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ওই আবেদন দেখান। আর ওই আদেন নিয়ে তিনি রোববার দায়িত্ব পালনের জন্য মাদরাসায় গেলে তাকে অফিস কক্ষে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
এদিকে জানতে চাইলে অ্যাডহক কমিটির সাবেক আহবায়ক নিজামুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাদরাসার হিসাব না দেয়ায় তাকে ৪মাসের জন্য ছুটি দেয়া হয়। আর এই ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে বহিস্কারও করেছেন। তাই তাকে মাদরাসায় ঢুকতে দেননি।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জানান, মাদরাসার উভয় পক্ষকে থানায় আসার জন্য বলেছেন। বিষয়টি জেনে শুনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিলেট প্রতিদিন/ এমএনআই

বিজ্ঞাপন স্থান
পুরাতন সংবাদ খুঁজেন
বিজ্ঞাপন স্থান
ফেসবুক মন্তব্য