
সিলেটে এক ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর কারাগারে

প্রতিদিন প্রতিবেদক
প্রকাশ ২০২৩-০৭-২৫ ০২:৩১:৪০

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) এক ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর এবার কারাগারে।দুজনকে দু’দিনে পৃথক দুটি মামলায় কারাগারের পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালাত।
কাউন্সিলর দুজন হলেন ৭ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান এবং একই ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সাঈদ মো. আবদুল্লাহ।
সিসিক নির্বাচনকালীন সময়ে ৭নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাসার সামনে অস্ত্রসহ মহড়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সোমবার(২৪জুলাই) আফতাব হোসেন খানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
ওইদিন সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেনের কাছে জামিন প্রার্থনা করলে তিনি আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরআগে তিনি একই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। সে সময় অস্ত্রসহ মহড়ার ঘটনায় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আফতাবের প্রার্থীতাও বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে, সিসিক নির্বাচনকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৭ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সাঈদ মো. আবদুল্লাহ কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কিউ এম নাসির উদ্দিন সাঈদ আব্দুল্লাহকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এর পক্ষে থাকা আইনজীবী মো. নাসির উদ্দিন।
এই মামলা সাঈদ আবদুল্লাহ ছাড়াও কারাগারে পাঠানো হয়েছেন ৭ নং ওয়ার্ডের বনকলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছবের মিয়া, আকলিছ মিয়া, এমাদ উদ্দিন সুয়েব, আমিন মিয়া, আল-আমিন, কাজী মিজান, মো. মোবারক হোসাইন, জীবন, ফরিদ মিয়া, রাজন আহমদ।
জানা যায়, গত ১১ জুন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের অভিযোগে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে বিমান বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ৭ নং ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ মো. আবদুল্লাহসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়।
এব্যাপারে কাউন্সিলর আফতাব উদ্দিন খানের আইনজীবী মো. আব্দুর রহমান আফজাল জানান, দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারার মামলায় সাঈদ আব্দুল্লাহসহ ১১ জন উচ্চ আদালত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ডাইরেকশনে ছিলেন। আদেশ মোতাবেক আসামীরা সিলেট মহানগর দায়রা জজের আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিনের আবেদন করলে, আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
তিনি জানান, সাঈদ আব্দুল্লাহসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে জামিন বাতিলের শুনানীতে আইনজীবী এ এইচ এম ওয়াসিম, আশিষ দেসহ তারা তিনজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য- ৬ জুন সাঈদ মো.আবদুল্লাহ’র বাসার সামনে ৭-৮টি মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকজন যুবক মহড়া দেয়। এসময় মোটরসাইকেল থেকে এক যুবক ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ মো. আবদুল্লাহ’র বাসার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে ভীতি প্রদর্শন করে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে মহড়ায় অংশ নেওয়া যুবকদের সাথে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানও ছিলেন।
এ ঘটনায় নগরীর বিমানবন্দর থানায় আফতাব হোসেন খানকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন সাঈদ আবদুল্লাহ।
এদিকে আফতাব হোসেন ছাড়াও এ মামলায় এখন পর্যন্ত আরও দুইজন গ্রেফতার হয়েছেন। তবে সেই অস্ত্র এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
সিলেট প্রতিদিন/ এমএ

বিজ্ঞাপন স্থান
পুরাতন সংবাদ খুঁজেন
বিজ্ঞাপন স্থান
ফেসবুক মন্তব্য