সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের কাছে পরাজিত আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে অবশেষে গাজীপুর নগরবাসীর উন্নয়নে অবদান রাখতে সরকারি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
দুই-চারদিনের মধ্যে তিনি সরকারি দায়িত্ব পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তবে কোন পদে বসানো হচ্ছে তা মন্ত্রী সরাসরি উল্লেখ না করলেও আজমত উল্লা খানকে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।
আজমত উল্লা খানকে বঞ্চিত নগরবাসীর উন্নয়নের জন্য সরকারি দায়িত্ব দেওয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বাসঘাতকতার কাছে নৌকা হেরেছে। আওয়ামী লীগ যেহেতু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে। সরকারের হাতেও কিছু ক্ষমতা থাকে, সরকারের নিজস্ব ক্ষমতা থাকে। গাজীপুরবাসী যেন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত না হন, দশ বছর ধরে এখানকার ৩৫ লাখ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। আর যেন বঞ্চিত না হন। গাজীপুরবাসীর স্বপ্ন ছিল আজমত উল্লা খানের মতো যোগ্য ব্যক্তি যদি এ সিটি গড়ার সুযোগ পান তাহলে এ নগরবাসী উপকৃত হবেন।
আমরা সরকারে থাকার কারণে সরকারের কাছে সে সুযোগ আছে, আমি আশা করি নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুরবাসীর প্রত্যাশা পুরণের জন্য খুব দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সরকারের অর্থ বরাদ্দে সকলকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন আজমত উল্লা খান।’
বুধবার রাতে মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকায় নির্বাচন পরবর্তী এক মূল্যায়ন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজমত উল্লা খানের উপস্থিতিতে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে বছর দুই আগে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (গাউক) যাত্রা করে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন নতুন এ সংস্থাটি গঠিত হয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আদলে। শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুর মহানগরের মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে সরকার গাউক গঠন করে। একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে ২০২০ সালে ৮ সেপ্টেম্বর ‘ গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন’ পাস হয়। ২০২২ সালের নভেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গাউক।