
হবিগঞ্জে ‘হায় হায় কোম্পানির’প্রতারণা

নবীগঞ্জ সংবাদদাতা:
প্রকাশ ২০২৩-০১-২৪ ০১:৫১:০৬

নবীগঞ্জে আবারও হায় হায় কোম্পানীর প্রতারনার শিকার হয়েছেন অর্ধশতাধিক সহজ সরল নারী। ওই নারীদের সহজ শর্তে ঋন দেয়ার নামে একদল সংঘবদ্ধ প্রতারক দল প্রায় ৪/৫ লাখ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে। এদিকে প্রতারকদের প্রতারনার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে অসহায় নিরীহ সহজ সরল ওই নারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০/১২ দিন আগে ‘আলো ফাউন্ডেশন’ নামে একটি এনজিও কর্মী দাবী করে ২/৩ জন লোক নবীগঞ্জ শহরের গন্ধ্যা পয়েন্টে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে অফিস খোলে।তারা প্রথমেই স্থানীয়ভাবে কয়েক’ জন মহিলা ও পুরুষ মাঠ কর্মী হিসেবে নিয়োগের প্রক্রিয়া করে।তাদের লোভনীয় অফার ও ভালমানের বেতনের কথা শুনে কয়েকজন সম্মতি দিলে ২০ হাজার টাকা জামানতে চাকুরী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
পরে মো.খলিলুর রহমান নামে (ম্যানাজার) ব্যক্তি তার সীল স্বাক্ষরযুক্ত সঞ্চয় ও ঋণের পাশ বই তৈরী করে নবীগঞ্জ তারনগাও, কলেজ পাড়া, গন্ধ্যাসহ বিভিন্ন এলাকার মহিলাদের নামে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সদস্য সংগ্রহ করা হয়।প্রায় ৫০ জন সদস্য তৈরী করে তাদের কাছ থেকে প্রথম পর্যায়ে ৬শ টাকা সঞ্চয় হিসেবে নেয়া হয়।এ ব্যাপারে ম্যানাজার খলিলুর রহমানের সীল স্বাক্ষর যুক্ত পাশ বহি সদস্যদের দেয়া হয়।
গত শনিবার ওই ম্যানাজার সদস্যদের জানায়, তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দু’দিনের মধ্যে ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই মতে যিনি ১ লাখ টাকা নিবেন তার বিপরীতে ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় এবং ২ লাখ টাকা ঋণের বিপরীতে ২০ হাজার টাকা সঞ্চয় রবিবারের মধ্যে দিতে হবে।যারা ওই সময়ের মধ্যে সঞ্চয়ের টাকা জমা দিবেন তাদেরকে ২ দিনের মধ্যে ঋণ দেয়া হবে।এমন লোভনীয় অফার শুনে গ্রামের সহজ সরল মহিলারা ম্যানাজার খলিল ও তার সহকর্মীর নিকট সঞ্চয়ের টাকা জমা দেন।সদস্য ও ঋণের সঞ্চয় মিলে প্রায় ৪/৫ লাখ টাকা এক দিনে সংগ্রহ করে আলো ফাউন্ডেশনের ম্যানাজার দাবীদার খলিলুর রহমান ও তার সহকর্মী।
গতকাল সোমবার (২৩ জানুয়ারী) সকালে সদস্যরা তাদের ঋণ গ্রহনের ফরম পূরণ করার জন্য অফিসে আসলে দেখা যায় অফিস তালা বদ্ধ।রোববার রাতেই চম্পট দেয় প্রতারকচক্র।অফিস রুমে ২টি চেয়ার ও ২টি টেবিল ব্যতিত আর কিছুই নাই।
প্রতারনার শিকার মহিলাদের হাতে দেয়া সঞ্চয় বহিঃএর মধ্যে শুধুমাত্র সঞ্চয়েরর ৬০০ টাকা লিখা রয়েছে। আর ১০/২০ হাজার টাকার সঞ্চয়ের আলাদা রসিদ দেয়া হয়েছে।ওই পাশ বই এ লিখা রয়েছে “আলো ফাউন্ডেশন” ( গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত) রেজিঃ নং এস-৯৮৯৮,সি-৯৭২০৪/১১, প্রধান কার্যালয়- ব্যাংক কলোনী, সাভার, ঢাকা-১৩৪০। উক্ত হায়হায় কোম্পানীর শিকার গ্রামের সহজ সরল অসহায় মহিলারা সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে।
এর আগেও আরও একাধিক হায়হায় কোম্পানী এসে প্রতারনার মাধ্যমে বিপুল পরিমান টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
সিলেট প্রতিদিন/ এমএ

বিজ্ঞাপন স্থান
পুরাতন সংবাদ খুঁজেন
বিজ্ঞাপন স্থান
ফেসবুক মন্তব্য