
ছাতকে হাওর রক্ষা বাঁধ নিয়ে শংকিত কৃষকরা

ছাতক প্রতিনিধি
প্রকাশ ২০২৩-০১-২৩ ০৬:০০:৩১

ছাতকে চলতি বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষায় নির্মিত বাঁধগুলোর মধ্যে অধিকাংশ বাঁধের ভাঙ্গন বন্ধ ও মেরামতের কাজ এখনো শুরু করা হয়নি। এ নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন হাওর পাড়ের কৃষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৩৭টি হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মধ্যে ১১টি প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। হাওরপাড়ের কৃষকদের অভিযোগ ধীর গতিতে চলছে পিআইসি'র কাজ। এতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছেন, নোয়ারাই চরমহল্লা ও সিংচাপইড় ইউনিয়নের কৃষকরা।
সরকারি নির্দেশনায় ৬টি শর্তে কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ এর আলোকে পিআইসি গঠনে সংশ্লিষ্টরা কাবিটা স্কীম প্রনয়ন ও মনিটরিং কমিটির কাছে পিআইসির সভাপতি, সদস্য সচিব ও সদস্যদের নিজ জমির মালিকানা কাগজ, ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কর্তৃক কৃষক সনদ ও নাগরিক সনদ জমা দিতে হবে। কিন্তু অনেক পিআই সি'র সদস্যরা এসব কাগজ পত্র এখনো জমা দিতে পারেনি। ফলে পি আই সি গঠনেও বিলম্বিত হচ্ছে।
ছাতকে প্রায় ৭ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুকুলে বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণও মেরামতের জন্য প্রথম দফায় ১৭,দ্বিতীয় দফায় ৬ এবং তৃতীয় দফায় ১৪ টি প্রকল্প চুড়ান্ত করা হয়। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, বিগত বন্যায় এখানে সবগুলো বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এখানে বরাদ্দ ও প্রকল্প বৃদ্ধি করা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে। কিন্তু এখানে অনেকগুলো পিআইসি এখনো চুড়ান্ত হয়নি। ২৩ টি পিআইসি এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
উপজেলার নোয়ারাই, সিংচাপইড়, জউয়াবাজার,চরমহল্লা ও দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ৩৭ টি প্রকল্পের মধ্যে ১১ টি প্রকল্পে মাটি ভরাট কাজ শুরু করা হয়েছে। কাজেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পিআইসি'র গুলোর কাজ সম্পন্ন হচ্ছে কি না এ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
মঙ্গলবার উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের নাইন্দার হাওরসহ কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জের এডিশন্যাল ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম আবুল্লাহ বিন রশিদ। এ সময় তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও ইউএনওকে হাওরের সবগুলো ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করার তাগিদ দিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মহি উদ্দিন জানান, ছাতকে নতুন যোগদান করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে সকল পিআইসি সরজমিন পরিদর্শন করেছেন। আগমী এক সপ্তাহের মধ্যে সকল প্রকল্পে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরের জামান চৌধুরী জানান, ছাতকে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামতে ৩৭ টি পিআইসি গঠিত হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ শুরু করা হয়েছে। তিনি আশাবাদী সব প্রকল্পের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
সিলেট প্রতিদিন/ এমএনআই

বিজ্ঞাপন স্থান
পুরাতন সংবাদ খুঁজেন
বিজ্ঞাপন স্থান
ফেসবুক মন্তব্য