
গ্রীসে প্রচন্ড ঠাণ্ডায় নবীগঞ্জের রেমিট্যান্স যোদ্ধার মৃত্যু

নবীগঞ্জ সংবাদদাতা:
প্রকাশ ২০২৩-০১-০৮ ০৭:৩০:৫৯

ইউরোপের দেশ গ্রীসে প্রচন্ড ঠাণ্ডায় নবীগঞ্জের জানু মিয়া নামের এক রেমিট্যান্স যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামের বাড়ি গুমগুমিয়ায় চলছে শোকের মাতম।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাত ১০. ৪০ মিনিটে গ্রীসের কালামাতা শহুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানু মিয়ার পারিবারিক সূএে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামের মো: ওয়াছির আলীর ৫ সন্তানের মধ্যে তৃতীয় সন্তান মো: জানু মিয়া পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ১৯৯৮ সালে প্রথমে ইরান যান। সেখানে কয়েক বছর থাকার পর তুর্কী হয়ে স্বপ্নের দেশ গ্রীসে পৌঁছেন প্রায় ১০ মাস পূর্বে।
প্রথমে গ্রীসের রাজধানী এথেন্স গেলেও পুলিশের ধরপাকড়ের কারণে চলে যান গ্রাম এলাকায়। সেখানে জয়তুন ফল চাষের কাজ শুরু করেন জানু মিয়া।
গত ৩০ ডিসেম্বর কাজ শেষে গাড়িতে উঠার সময় তার বুকে ব্যথা অনুভব করলে তার সহকর্মীরা প্রথমে তাকে তার বাসায় নিয়ে যান। পরদিন জানু মিয়াকে গ্রীসের কালামাতা শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে রেমিট্যান্স যোদ্ধা জানু মিয়ার মৃত্যু হয়।
জানু মিয়ার দুলাভাই আবুল কাসেম আরও জানান, বুধবার দিবাগত রাত ৩ টায় তারা গ্রীসে অবস্থারত জানু মিয়ার চাচাতো ভাই সোহেলের মাধ্যমে জানু মিয়ার মৃত্যুর খবর পান। মৃত্যুর খবর পেয়ে তারা করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানার সাথে যোগাযোগ করেন।
চেয়ারম্যান রানা গ্রীস দূতাবাস যোগাযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন আবুল কাশেম। তারা জানু মিয়ার লাশ দেশে আনার জন্য গ্রীস দূতাবাসের সহযোগিতাও চেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে জানু মিয়ার চাচাতো ভাই সোহেল কালামাতার ওই হাসপাতালে যান। তবে সোহেল জানিয়েছেন তিনি জানু মিয়ার লাশ দেখতে পারেননি। ময়নাতদন্তসহ সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে কর্তৃপক্ষ লাশ দেখতে দিবে।তাদের কান্নায় নিকট আত্নীয়স্বজন প্রতিবেশিসহ আশেপাশের লোকজন তাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের শান্তনা দিচ্ছেন।পরিবারের লোকজন শেষবারের মতো তাদের জানু মিয়াকে একনজর দেখার জন্য তার লাশ দেশে আনার ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট লোকজন গ্রীস দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়েছেন।
সিলেট প্রতিদিন/ এএস

বিজ্ঞাপন স্থান
পুরাতন সংবাদ খুঁজেন
বিজ্ঞাপন স্থান
ফেসবুক মন্তব্য