
দোয়ারাবাজারে ব্যবসায়ীদের পুলিশি হয়রানি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ ২০২২-১২-০৪ ০৫:০১:১৭

পুলিশি হয়রানি এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার সবজি ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় বাংলাবাজারে পূর্ব বাংলাবাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি: -র কার্যালয়ে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মোতালিব আলী।
সাংবাদিক সম্মেলনে মোতালিব আলী বলেন, ‘দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নে শীতকালীন সবজির বিপ্লব ঘটে। এখানকার সবজি বিভাগীয় শহর সিলেটসহ সারাদেশে যায়।
সম্প্রতি বাংলাবাজার থেকে একট্রাক আলু, মুলা ও টমেটো নিয়ে সিলেটের আরৎ এ নিয়ে যাওয়ার সময় সোবহানিঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে আটক করে পুলিশ। ভারতীয় পণ্য সন্দেহে তিন সবজি ব্যবসায়ীকে আটক করা এবং মালামাল জব্দ করা হয় (মামলা নম্বর ৩/৮৭৬)। অহেতুক হয়রানিমূলক মামলা দেওয়ায় এখন ফুঁসে ওঠেছেন ব্যবসায়ী মহল।
এদিকে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী আল আমিন, পূর্বশরীফপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেন, বাঁশতলা গ্রামের খলিল মিয়া, জাহাঙ্গীরগাঁও গ্রামের আমীর আলী, ছালিক মিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ -র বিশেষ ক্ষমতা আইনে হয়রানীমূলক মামলা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সর্বস্তরের সবজি ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য ৪১ বস্তা আলু, ৫৮ ক্যারেট টমেটো, ১৫০ কেজি মূলা, মিনি ট্রাক (সিলেট মেট্রো ড-১১০২৯৭) জব্দ করা হয়। এতে ব্যবসায়ীদের ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, নিরীহ সবজি ব্যবসায়ীদের ওপর থেকে অবিলম্বে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং পুলিশি হয়রানি থেকে পরিত্রাণ চাই।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলার গণমাধ্যম কর্মীসহ সবজি ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান, আমির আলী, আকিক মিয়া, লুৎফুর রহমান, ইসলাম উদ্দিন, হাফিজ উদ্দিন, আব্দুল জব্বার, ইসলাম উদ্দিন২, জামাল মিয়া, জাকির হোসেন, কামাল মিয়া, রফিক মিয়া, শাহ মিরন, ওয়াহিদ মিয়া, ইসমাইল, আনোয়ার আলী, মনির, খালিক, সাজিদ, গিয়াস উদ্দিন, গোলাপ মিয়া, ফারুক মিয়া, মানিক মিয়া, শুক্কুর আলী, মজলু মিয়া, রতন মিয়া প্রমুখ।
সিলেট প্রতিদিন/ এএস

বিজ্ঞাপন স্থান
পুরাতন সংবাদ খুঁজেন
বিজ্ঞাপন স্থান
ফেসবুক মন্তব্য